বিধ্বংসী আগুনের পর থেকে 'নিখোঁজ' বাগরির মালিক! ফিরহাদের নির্দেশের পর এফআইআর
বাগরি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম অবস্থা দমকলের। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্তা না থাকায় বাগরি মার্কেটের অন্যতম কর্ণধার এবং বাগরি এস্টেটের সিইও-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
বাগরি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম অবস্থা দমকলের। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্তা না থাকায় বাগরি মার্কেটের অন্যতম কর্ণধার এবং বাগরি এস্টেটের সিইও-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দমকলের তরফে পুলিশের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই কাল্লু কোঠারি ওরফে কৃষ্ণকুমার কোঠারির। বাগরি মার্কেটের যাবতীয় নথিতে কাল্লু কোঠারির নাম উল্লেখ রয়েছে। ঠিকানা রয়েছে বড়বাজারের। সেখানে গিয়ে তাঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ।
খোঁজ নেই বাড়ির মালিক রাধা বাগরিরও। তিনি বাগরি মার্কেটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বলে জানা গিয়েছে। রাধা বাগরি কাল্লু কোঠারিকে মার্কেট পর্যবেক্ষণের জন্য সিইও হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার ভোররাত আড়াটে নাগাদ আগুন লেগেছিল বাগরি মার্কেটে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেদিন সকাল সাড়ে সাতটার পর থেকে খোঁজ নেই রাধা বাগরির। বালিগঞ্জ প্লেসে তাঁর বাড়ি। সেখানে তাঁর দত্তক পুত্রেরও খোঁজ মেলেনি। তবে বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে রয়েছেন একমাত্র রাঁধুনি।
বাগরি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পর বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকমাসে সঠিক সময়ে যাবতীয় টাকা তুলে দিতে হত বাগরি মার্কেটের কর্তৃপক্ষের কাছে। রক্ষণাবেক্ষণের টাকা দিলেও, কোনও পরিষেবা পাওয়া যেত না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তাদের আরও অভিযোগ, অগ্নি নির্বাপণের জন্য পুরো ব্যবস্থা না করে, শুধুমাত্র ফায়ার লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ফায়ার অয়্যারিং করা হয়েছিল।