কতটা সুরক্ষিত ছিল প্রিয়া সিনেমা ! অগ্নিকাণ্ড নিয়ে দমকলের রিপোর্টে চাঞ্চল্য
দক্ষিণ কলকাতায় প্রিয়া সিনেমা হলের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। বিষয়টি নিয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে প্রিয়ার মালিকের কাছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধের কথা জানানো হয়েছে দমকলের তরফে।
দক্ষিণ কলকাতায় প্রিয়া সিনেমা হলের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। বিষয়টি নিয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে প্রিয়ার মালিকের কাছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধের কথা জানানো হয়েছে দমকলের তরফে। রবিবার রাতে নাইট-শো চলাকালীন লাগে। কেউ হতাহত না হলেও, আতঙ্ক ছড়িয়েছিল দর্শক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
রবিবার রাত ১০.১৫। হঠাৎই আগুনের শিখা দেখা দেয় প্রিয়া সিনেমা হলের দোতলার অংশ থেকে। প্রথমে দাবি করা হয়েছিল সিনেমা হল সংলগ্ন মোমোর দোকান থেকে আগুন ছড়িয়েছিল। কিন্তু পরে দমকল ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, আগুনে মোমোর দোকানটিতে সেরকম ক্ষতি হয়নি। আগুনে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রিয়া সিনেমা বিল্ডিং-এর দোতলার অংশ। তারপরেই ক্ষতির পরিমাণে রয়েছে একতলার অংশ। প্রিয়ার কর্ণধার অরিজিত দত্তের অফিসেই সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
আগুন লাগার সময় ৪০ জন দর্শক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সিনেমা হলের ওপরের তলায় আটকে পড়েছিলেন প্রিয়া কর্ণধারের পরিবারের ৪ সদস্য। দমকলের সাহায্যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়।
প্রিয়া সিনেমা হলে তদন্তের পর দমকলের তরফে থেকে ৪ টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়গুলি নিয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে প্রিয়ার মালিকের কাছে।
দমকলের তরফে জানানো হয়েছে
- বিল্ডিং-এ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ নয়
- তাছাড়া বিল্ডিংটিও বিপজ্জনক
- সিনেমা হলের স্মোক ডিটেক্টর বিকল হয়ে গিয়েছে
- অগ্নি নির্বাপণের বিকল্প কোনও ব্যবস্থাও নেই
রবিবার রাতে আগুন লাগার পর সোমবার সকালে প্রিয়ার কর্ণধার জানিয়েছিলেন, সেদিন বিকেল থেকে হল চালু হয়ে যাবে। তা যে সম্ভব নয় সেদিনই জানিয়েছিল দমকল। পরে দেওয়া হল এই বিপজ্জনক রিপোর্ট।