আগুন লাগিয়ে কারখানা থেকে সরানো হচ্ছে দামী মেশিন, নিরাপত্তা বাড়ল জেসপে
অভিযোগ উঠেছিল আগুন লাগানোর পিছনে প্রধান উদ্দেশ্য বন্ধ জেসপ কারখানা থেকে দামী মেশিন সরানো।মঙ্গলবার ব্যারাকপুর কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী কারখানা পরিদর্শন করে বাড়তি পুলিশ পোস্টিং-এর সিদ্ধান্ত নেন।
কলকাতা, ১৮ অক্টোবর : অভিযোগ উঠেছিল আগুন লাগানোর পিছনে প্রধান উদ্দেশ্য বন্ধ জেসপ কারখানা থেকে দামী মেশিন সরানো। তা রুখতে এবার কোমর বেঁধে লাগল পুলিশ-প্রশাসন। মঙ্গলবার ব্যারাকপুর কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী আগুন লাগা কারখানা পরিদর্শন করে বাড়তি পুলিশ পোস্টিং-এর সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো অদ্যাবধি পরেই কারখানা ঘিরে বসানো হয় কমব্যাট ফোর্স।
পুলিশ বাহিনীর হাতে রাবার বুলেট রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। কোনওমতেই যাতে দুষ্কৃতীরা ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চত করতে চাইছেন তিনি। জেশপ কারখানায় গিয়ে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার বলেন, কারখানায় নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। চারিদিকের প্রাচীর ভগ্নপ্রায়। প্রাচীরে ৭০-৭২টি জায়গায় গর্ত হয়ে গিয়েছে।
ভঙ্গুর ওই প্রাচীর দিয়ে যখন খুশি দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ছে। আসলে এটি পরিকল্পিতভাবে করে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি। কারখানার চারিদিকে জঙ্গলে পরিপূর্ণ। কারখানা বনজঙ্গল কেটে সাফ করতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত তা করা হয়নি। এবার পুলিশের পক্ষ থেকেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেছেন তিনি।
পুলিস কমিশনারের সঙ্গে এদিন আবার কারখানা পরিদর্শনে যান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আবারও অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি। এদিনই বেলা বারোটা নাগাদ ঘটনাস্থলে যায় সিআইডি-র দল।