SSKM-এর এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের সামনেই ভয়াবহ আগুন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ছুটে এলেন মুখ্যসচিব,মন্ত্রীরা
SSKM-এর এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ আগুন। আগুন লেগেছে সিটি স্ক্যান বিল্ডিংয়ে। ঘটনার সময়ে যদিও ঘটনাস্থলে কোনও রোগী ছিল না। তবে বেশ কয়েকজন কর্মী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও তাদের বার করে আনা হয়েছে বলে খবর। তবে ঘটনার খবর পে
SSKM-এর এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ আগুন। আগুন লেগেছে সিটি স্ক্যান বিল্ডিংয়ে। ঘটনার সময়ে যদিও ঘটনাস্থলে কোনও রোগী ছিল না। তবে বেশ কয়েকজন কর্মী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও তাদের বার করে আনা হয়েছে বলে খবর। তবে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের অন্তত ১০ টি ইঞ্জিন।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ঘটনার পরেই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। যে সমস্ত রোগী আসছে তাঁদের সবাইকে অন্য জায়গাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘিরে রাখা হয়েছে গোটা এলাকা। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সমস্ত রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও খবর। ঘটনার পরেই বিছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা।
অন্যদিকে ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। গোটা পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে ধোঁয়া রয়েছে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের খবর নেই। বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, সিটি স্ক্যানের মেশিনেই আগুন লাগে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস।
পাশাপাশি ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। কীভাবে এই আগুন তা জানার চেষ্টা তিনি করছেন বলে খবর।
তবে যে জায়গাতে এই আগুন লেগেছে সেখানে ব্যাপক পরিমানে দাহ্য পদার্থ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে আগুন সম্পূর্ণ ভাবে নেভানোটা রীতিমত চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে দমকলের কাছে। যদিও কাঁচ ভেঙে সবদিক থেকে আগুন সম্পূর্ণ ভাবে নেভানোর কাজ চলছে। এমনকি অক্সিজেন মাস্ক পড়েও একেবারে আগুনে উৎসে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাত ১০ টা নাগাদ এই আগুন লাগে। হঠাত করেই বাজি ফাটার মতো একটা শব্দ শোনা যায়। আর এরপরেই ওই বিল্ডিংয়ে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায় বলে জানা যায়। মুহূর্তে কালো ধোঁয়াতে ভরে হাসপাতাল চত্বর। যদিও মুহূর্তের মধ্যে হাসপায়তাল থেকে রোগীদের বার করে দেওয়া হয়। ফলে বড় কিছু ঘটতে পারেনি। এমনকি যে জায়গাতে এই আগুন লাগে সেখানেও কোনও রোগী না থাকার কারণে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে! যা এখনও বঙ্গবাসীর মনে টাটকা। তবে এদিন রাজ্যের অন্যতম বড় সুপার স্পেশালিটী হাসপাতালে কীভাবে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয়। তবে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।