গার্ডেনরিচে গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন
গার্ডেনরিচে গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন
গার্ডেনরিচে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। সকালেই তারাতলার একটি গো ডাউনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দাউ দাউ করে জ্বলছে গুদামটি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে দমকল কর্মীদের অনুমান প্রচুর দাহ্যবস্তু মজুত থাকার কারণেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। তারমধ্যে প্রবল হাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে।
তারাতলার এফসিআইয়ের গোডাউনে আগুন লাগে বলে খবর। সেখানে প্রচুর খাদ্য সামগ্রি মজুত রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। চট এবং প্লাস্টিকের বস্তায় খাবার থাকায় আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। দুটি জিনিসই ভয়ঙ্কর ভাবে দাহ্য। প্রথমে এলাকার বাসিন্দারা আগুন দেখতে পান। দমকলে খবর দেওয়ার পরেই আগুন ছড়াতে শুরু করে। দমকল যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তখন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই আগুন আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গিয়েছে।
দমকলের ১২টি ইঞ্জিন এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন তাঁরা। আশপাশের গোডাউনেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেখানে প্রায় ১০০টি গোডাউন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। দমকলকর্মীদের সহযোগিতায় হাত লাগিয়েছে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরাও। হাওয়ার দাপট থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু দ্রুত আগুন না নিয়ন্ত্রণে আনা গেলে সেটা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দমকলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এখনও পর্যন্ত গুদামের ভেতর কেউ আটকে থাকার খবর পাওয়া যায়নি। হতাহতের খবরও মেলেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন। আগে ১২টি ইঞ্জিন কাজ করছিল। তারপর আরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। এদিকে আবার সকালে ডানকুনিতে একটি ব্যাটারির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেসময় ব্যাটারির কারখানায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লােগ বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গত কয়েক মাসে কলকাতা শহরে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।