হিন্দু ধর্মে বিয়েতে আপত্তি! বাবা-দাদার হাতে মমতার রাজ্যে যুবতী খুনের অভিযোগ
হিন্দু ধর্মে বিয়েতে আপত্তি। যার জেরে বাবা-দাদার হাতে খুন যুবতী। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাবা-দাদাকে।
হিন্দু ধর্মে বিয়েতে আপত্তি। যার জেরে বাবা-দাদার হাতে খুন যুবতী। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাবা-দাদাকে। যুবতীর উরুতে মেহেন্দি দিয়ে লেখা ফোন নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ প্রেমিকের খোঁজ পায়। এরপরে সেই সূত্রে ধরেই কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকা যুবতীর বাবা মহম্মদ মুস্তাক ও দাদা জাহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিহারের মুজফফরপুরে একই গ্রামের বাসিন্দা জেহানা খাতুন ও করণ রাম। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু জেনাহার বাড়ি থেকে ছিল প্রবল আপত্তি। আপত্তি অগ্রাহ্য করেই করণের সঙ্গে একবার নাগপুরে চলে যায় জেহানা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জেহানার বাড়ি থেকে করণের বাড়িতে তাকে ফেরত আনার জন্য চাপ দেওয়া হয়। ফলে করণ জেহানাকে নিয়ে গ্রামে ফেরত যায়। এরপর জেহানাকে নিয়ে কলকাতায় চলে আসেন বাবা ও দাদা। দুজনকে বারবার আলাদা করার চেষ্টা হলেও, করণের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল জেহানার।
৩১ অগাস্ট পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রামে জাতীয় সড়কের ধার থেকে অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের সময় তথ্য হাতে পায় পুলিশ। যুবতীর উরুতে লেখা মেহেন্দি দিয়ে লেখা একাধিক ফোন নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায় ওই ফোন নম্বরের একটি মহারাষ্ট্রে থাকা যুবক করণ রামের। সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। করণের সঙ্গে জেহানার সম্পর্কের কথা জানতে পারে পুলিশ।
তদন্তের সূত্র ধরেই পার্কসার্কাসে থাকা বাবা মহম্মদ মুস্তাক ও দাদা জাহিদকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরায় দুজনেই খুনের কথা স্বীকার করে বলে দাবি পুলিশের।
তদন্তে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, করণকেই বিয়ে করার জেদ ধরায় জেহানাকে নিয়ে ২৯ অগাস্ট কলকাতায় আসে বাবা মহম্মদ মুস্তাক ও দাদা জাহিদ। এরপর ৩০ অগাস্ট গাড়িতে করে জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩১ অগাস্ট জাতীয় সড়কের ধার তেকে দেহ উদ্ধার হয়। মৃত জেহানার মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। গলায় ফাঁসের দাগও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশের দাবি, জেহানার দাদা জাহিদ জানিয়েছে, বাবা মহম্মদ মোস্তাক মেয়ের গলায় ফাঁস লাগায়ে খুন করে জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে দেয়। তবে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী বস্তুর আঘাত করা হয়।