মোদী বিরোধী জোট আড়াআড়ি দু’ভাগ! নবান্নে মমতা-সাক্ষাতে বিরোধী দলের লাইন
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই বিরাট সাফল্যের পরই হঠাৎ করেই মোদী বিরোধী জোটের ঐক্যে ফাটল ধরেছে। ফের উঠে পড়েছে ফেডেরাল ফ্রন্টের প্রশ্ন।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ফলে বিধ্বস্ত হয়েছে বিজেপি, তিন রাজ্যে একা হাতে বিজেপি শাসনের অবসান ঘটিয়েছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই বিরাট সাফল্যের পরই হঠাৎ করেই মোদী বিরোধী জোটের ঐক্যে ফাটল ধরেছে। ফের উঠে পড়েছে ফেডেরাল ফ্রন্টের প্রশ্ন। কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলার তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে আবার।
নবান্নে ফারুক আবদুল্লা
শুক্রবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক হয় ন্যাশনাল কনফারেন্স সুপ্রিমো ফারুক আবদুল্লার। সেই বৈঠকে মোদী বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যেই তেলেঙ্গানার নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও ফের মমতার সঙ্গে বৈঠকের কথা জানান। তিনি এই মর্মে সোমবারই আসছেন কলকাতায়।
মোদী শাসনের অবসান দাবি
এদিন ফারুক আবদুল্লার সঙ্গে নবান্নে একপ্রস্থ জোট আলোচনা হয়। আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে কোন পথে এগনো হবে, তা নিয়ে দুই নেতা-নেত্রী কথা বলেন। উভয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, মোদী জমানায় দেশে এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশের বিভিন্ন স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের হাতের ক্রীড়নকে পরিণত করছে সরকার। বিভিন্ন সিদ্ধান্তে দেশবাসী অতীষ্ট। তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। আমাদের এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। দেশ থেকে মোদী শাসনের অবসান ঘটাতে হবে।
কেসিআর আসছেন নবান্নে
নবান্নে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফারুক আবদুল্লার মধ্যে বৈঠক চলছে, তখনই কেসিআরের ফের কলকাতায় আসা ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এর আগেও কেসিআর বাংলায় এসেছিলেন। নবান্নে এসে জোট বৈঠক করে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি ফেডারেল ফ্রন্টের বার্তা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন দেশের দরকার, অবিজেপি-অকংগ্রেসি সরকার।
ফেডেরাল ফ্রন্টের সম্ভাবনা ভাসছে
কিন্তু পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন স্পষ্ট করে দিয়েছে, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট মানে অশ্বডিম্ব। বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়াই এই জোটের মূল লক্ষ্য বলে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে কেউ কেউ সুর তোলে। বিশেষ সিপিএম তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টাতেই ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই ফেডারেল ফ্রন্টের কথা।
সপা-বসপার আসনরফায় বাদ কংগ্রেস
আবার তিন রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের সাফল্যের পরও উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে সপা-বসপা আসনরফা চূড়ান্ত করে ফেলার পিছনে রাজনৈতিক মহলের একাংশ অন্য গন্ধ পাচ্ছে। যদিও এই আসনরফার যে সূত্র প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে কংগ্রেসের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসন ছেড়ে রেখে দিয়েছে। কিন্তু তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসনরফাকে সমর্থন ও একের পর এক বিজেপি বিরোধী নেতার নবান্নে আসায় ফেডারেল ফ্রন্টের সম্ভাবনা আবার ভেসে উঠেছে।