এই মুহূর্তে রাজ্যে ভুয়ো ডাক্তারের সংখ্যা কত? নবান্নে ডিজি-র কাছে রিপোর্ট পেশ সিআইডি-র
উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু, ভুয়ো ডাক্তারের জাল ছড়িয়েছে কলকাতার নামী হাসপাতালগুলিতেও। তদন্ত নেমে চক্ষুচড়কগাছ গোয়েন্দাদের।
ভুয়ো ডাক্তারকাণ্ডে শিকড় অনেক গভীরে। নবান্নে রিপোর্ট জমা পড়ার পরই জল্পনা শুরু হয়েছে চিকিৎসকমহলে। বৃহস্পতিবার সিআইডি যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতাতেই ১২ জন ভুয়ো ডাক্তারের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাঁরা বিভিন্ন নামী সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন। শুধু এই ১২ জনই নন, রাজ্যজুড়ে ভুয়ো ডাক্তারের সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে ৫০০, এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট এদিন জমা পড়েছে নবান্নে।
সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছে, বহু চিকিৎসক সাধারণ কোনও বিভাগে মেডিকেল পাস করে নিজেদের এমবিবিএস বলে চালাচ্ছেন। জেনারেল ফিজিসিয়ানরাই রাতারাতি বনে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এবং তা হচ্ছে কোনও সার্টিফিকেট বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই। বছরের পর বছর ধরে এই জাল ডাক্তারের জাল ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যে। ভ্রুক্ষেপহীন থেকেছে প্রশাসন।
উত্তরবঙ্গের মালদহে প্রথম এই ভুয়ো ডাক্তারের খোঁজ মেলে। কুশীনাথ হালদার ও কাইজার আলম নামে দু'জন ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের জেরা করে কলকাতা যোগ খুঁজে পায় পুলিশ। কলকাতা ও শহরতলির নামী কয়েকটি হাসপাতালে যে এই জাল বিস্তৃত তাও জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে কলকাতার বেলভিউ থেকে গ্রেফতার হন নরেন পাণ্ডে।
এই ঘটনার পরই বেলভিউয়ের সিইও-কে জেরা করে সিআইডি-র একটি বিশেষ দল। একে একে ধৃতদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন এই জাল ছড়িয়ে রয়েছে রাজ্যজুড়ে। কলকাতা-সহ শহরতলির অনেক হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ছড়িয়ে রয়েছেন এঁরা। ইতিমধ্যে আরও ১২ জনের নামের তালিকা ও কোন হাসপাতালে তাঁরা কর্মরত, তা সিআইডি-র হাতে চলে এসেছে।
এদিন রিপোর্টে কলকাতার ওই ১২ জন ভুয়ো চিকিৎসকের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রিপোর্টে জানানো হয়েছে অন্তত ৫০০ জন ভুয়ো ডাক্তার ছড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। আর এই ভুয়ো ডাক্তার নিয়োগে যে একটা চক্র কাজ করে, তাও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। শীঘ্রই ১২ জন ভুয়ো ডাক্তারকে জেরা করা হবে।