এমবিবিএসের ফুল ফর্মই জানেন না! বারুইপুরে পর্দাফাঁস উচ্চমাধ্যমিক পাশ ভুয়ো ডাক্তারের
মালদহ, কলকাতা, বর্ধমান, হাওড়া থেকেও ধরা পড়েছিল ভুয়ো ডাক্তার। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে হদিশ মিলল এমবিবিএস পাশ বলে পরিচয় দেওয়া ভুয়ো ডাক্তারের।
এক এক করে ভুয়ো ডাক্তারের পর্দা ফাঁস হচ্ছে রাজ্যে। এবার জালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ ডাক্তার। তিনি আবার এমবিবিএসের ফুল ফর্মও জানেন না। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ সেই ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ভুয়ো ডাক্তারের নাম ইজাজ আহমেদ। এর আগে মালদহ, কলকাতা, বর্ধমান, হাওড়া থেকেও ধরা পড়েছিল ভুয়ো ডাক্তার। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে হদিশ মিলল ভুয়ো ডাক্তারের।
ধৃত ইজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত তিন বছর ধরে নিজেকে এমবিবিএস পাশ চিকিৎসক হিসেবে দাবি করছিলেন। জেনারেল মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে প্র্যাকটিসও করছিলেন। একটি নার্সিংহোমের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এই অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ইজাজকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বৈধ রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়াই ধৃত ইজাজ আহমেদ প্র্যাকটিস করছিলেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, সোনারপুর, ক্যানিং, বাসন্তী-সহ একাধিক এলাকা তাঁর চেম্বার ছিল। বিগত ১৭ বছর ধরে তিনি রমরমিয়ে প্র্যাক্টিস করছিলেন। এই ভুয়ো ডাক্তার এমবিবিএসের ফুল ফর্ম জানেন না বলেও অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিত তদন্তে নেমে জানা যায়, ওই ভুয়ো ডাক্তার আদতে উচ্চমাধ্যমিক পাস। তাকে এদিন বারুইপুর আদালতে তোলা হয়।
মেডিকেল কাউন্সিলর ভুয়ো ডাক্তারের একটি নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেইমতো প্রশাসন তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক চিকিৎসক ধরা পড়ছেন পুলিশের জালে। ইজাজ আহমেদের ভুয়ো ডাক্তার হিসেবে পর্দা ফাঁসের নেপথ্যে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাত রয়েছে। সংগঠনের সভাপতি রাজু ঘোষ রোগী সেজে গিয়ে কৌশলে তাঁর রেজিস্ট্রেশন জানতে চান। কিন্তু তিনি কিছুই বলতে পারেননি।