ভাগাড় কাণ্ডে জামিন আরও ৫ জনের! সিআইডির 'অভিযোগ' কাদের দিকে, জেনে নিন
সিআইডি চার্জশিট পেশে ব্যর্থ হওয়ায় ভাগাড় কাণ্ডে জামিন হয়ে গেল ৫ জনের। এখন পর্যন্ত এই কাণ্ডে এনিয়ে জামিন হল ৭ জনের। নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিট দিতে না পারলে বাকিদেরও জামিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সিআইডি চার্জশিট পেশে ব্যর্থ হওয়ায় ভাগাড় কাণ্ডে জামিন হয়ে গেল ৫ জনের। এখন পর্যন্ত এই কাণ্ডে এনিয়ে জামিন হল ৭ জনের। নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিট দিতে না পারলে বাকিদেরও জামিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিআইডি সূত্রে খবর, ফরেনসিক রিপোর্ট জমা না পড়ায় চার্জশিট জমা দেওয়া যায়নি।
ভাগাড় মাংস কাণ্ডে বুধবারের জামিনপ্রাপ্তদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য গয়েশপুরের প্রাক্তন সিপিএম নেতা মানিক মুখোপাধ্যায় এবং সরাফত হোসেন।
তবে এর আগে ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছিল। বজবজ থেকে সংগৃহীত মাংসের নমুনা এতটাই খারাপ ছিল যে তা পরীক্ষাই করা যায়নি। আদালতে এমনটাই জানিয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী। তবে মাংস বহনকারী গাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষায় পচা মাংসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে বলে জানা যায়।
অভিযুক্তদের আইনজীবীরা মক্কেলের মুক্তির জন্য আবেদন জানান। আদালত সূত্রের খবর, সেই সময় বিচারক উদ্ধার হওয়া মাংস সম্পর্কে রিপোর্ট জানতে চান।
অন্যদিকে, রাজাবাজার ও মানিকতলার কোল্ট স্টোরেজ থেকে সংগৃহীত মাংসের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছয়নি বলে জানা গিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সিআইডি দায় চাপিয়েছে ফরেনসিক ল্যাবরেটরির ওপর। সিআইডি সূত্রে খবর, বেলগাছিয়া ফরেনসিক ল্যাব ভাগাড় মাংস কাণ্ডের রিপোর্ট পেশ করতে পারেনি। ল্যাব সূত্রে জানা গিয়েছে, মাংসের একাধিক নমুনা তারা পেয়েছেন। সব রিপোর্ট নিয়েই সিআইডিকে জমা দেওয়া হবে।
ভাগাড় কাণ্ডে গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিতে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ।
মে মাসে ভাগাড় মাংসাকাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। সিআইডি-র স্পেশাল সুপার(দক্ষিণ)-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে স্পেশাল ইনভেসটিগেটিং টিম তৈরি করে সিআইডি। যেসব এলাকা থেকে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ এসেছিল, সেই সমস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন সেই টিমের সদস্যরা।