এক্সপ্রেসওয়েতে আদৌ কি আছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল! ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে উঠছে প্রশ্ন
দুর্ঘটনার ঘন্টাখানেকের অনেক পরে চালক শিবাজী রায়কে সেখান থেকে উদ্ধার করে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়।সেখানেই প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি জাতীয় সড়ক কিংবা এক্সপ্রেসওয়েগুলোতে আছে পর্যাপ্ত বিপর্যয় মোকাবিলার দল
রবিবার সকাল দশটারে আশপাশে দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার ঘন্টাখানেকের অনেক পরে চালক শিবাজী রায়কে সেখান থেকে উদ্ধার করে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি জাতীয় সড়ক কিংবা এক্সপ্রেসওয়েগুলোতে আছে পর্যাপ্ত বিপর্যয় মোকাবিলার দল।
সুপার কারের বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে কাজ করেছিল কিনা তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, ঠিক এই সময়ে প্রশ্ন উঠছে কোন গাড়ি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে, তাতে আটকে পড়া যাত্রীদের কত তাড়াতাড়ি উদ্ধার করা যাবে তা নিয়ে। কেননা রবিবার দুর্ঘটনা ঘটনা বেশ কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে যায় ক্রেন। অভিযোগ এর সঙ্গে ছিল না কোনও উদ্ধারকারী দল কিংবা অ্যাম্বুল্যান্স।
স্থানীয় সূত্র এবং শিবাজী রায়ের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর আধঘণ্টারও বেশি সময় সঙ্কটজনক অবস্থাতেও কথা বলেছিলেন শিবাজী। তাঁর কোমড় থেকে পায়ের নিচের দিকের অংশ আটকে ছিল ভাঙা গাড়ির মধ্যে। সেই অবস্থা থেকে তাঁকে উদ্ধার করতেই সময় লেগে যায় ঘণ্টা খানেকের বেশি। কেননা প্রথমে সেখানে যায় ক্রেন। এরপর খোঁজখবর শুরু হওয়ায় পর সেখানে যায় গ্যাসকাটারের দল। তাঁরা দরজা কেটে শিবাজীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।
শিবাজী রায়ের পরিবার ও বন্ধুরা জানিয়েছেন, অনেক দিন আগে থেকেই স্পোর্টস কার চালাচ্ছেন তিনি। ফেরারির মতো গাড়ির টেকনোলজি নখদর্পনে ছিল তাঁর। কোনও সময়েই নির্দিষ্ট বেগের বেশি গতিতে গাড়ি চালাতেন না তিনি। ফলত দুর্ঘটনার পর সেখানে আটকে পড়েই মৃত্যু দিকে ঢলে পড়েছেন শিবাজী। সঙ্গে সঙ্গেই যদি শিবাজী রায়কে দরজা কেটে উদ্ধারের বন্দোবস্ত করা যেত, তাহলে হয়তো প্রাণ বাঁচানো যেত বলেও মনে করছেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই উদ্ধারকার্য দেরি শুরু হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। এক্সপ্রেসওয়েগুলিতে এর আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনায় এই বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা না থাকার ব্যাপারটি প্রকট হয়েছিল বলেও জানাচ্ছেন সেইসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা।
দুর্ঘটনায় কলকাতার ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, জাতীয় সড়ক কিংবা এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় উদ্ধারকার্য ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই। আর দেরিতে উদ্ধারকার্য শুরু হলে দুর্ঘটনাগ্রস্তের মৃত্যু অনিবার্য।