কৃষ্ণা বসুকে নিয়ে লোকসভায় আনা হয়নি শোকপ্রস্তাব, মর্মাহত ছেলের চিঠি লোকসভার অধ্যক্ষকে
টানা তিনবারের সাংসদ ছিলেন তিনি। একাধিক সংসদীয় কমিটিতেও ঠিলেন তিনি। অথচ তাঁকে নিয়েই কোনও শোক প্রস্তাব আনা হয়নি লোকসভায়। অনেকে আবার কটাক্ষ করে বলছেন তাঁকে মনে করতে পারেনি সংসদ।
টানা তিনবারের সাংসদ ছিলেন তিনি। একাধিক সংসদীয় কমিটিতেও ঠিলেন তিনি। অথচ তাঁকে নিয়েই কোনও শোক প্রস্তাব আনা হয়নি লোকসভায়। অনেকে আবার কটাক্ষ করে বলছেন তাঁকে মনে করতে পারেনি সংসদ। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁর ছেলে তথা অপর প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসু। ঘটনায় তিনি মর্মাহত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সুগত বসুর চিঠি
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে দেওয়া চিঠিতে সুগত বসু বলেছেন, টানা তিনবারের সাংসদ ছিলেন তাঁর মা কৃষ্ণা বসু। ঠিলেন বিদেশ মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানও। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা গিয়েছেন। তারপর থেকে প্রায় দু সপ্তাহ চলেছে লোকসভা। কিন্তু তাঁর জন্য কোনও শোকপ্রস্তাব আনা হয়নি। বিষয়টিকে দুঃখজনক বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
২২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর আগে তাঁর স্ট্রোক হয়েছিল। এছাড়াও হৃদযন্ত্রের সমস্যাও ছিল। মৃত্যুর দিন কয়েক আগে এই হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়েই তাঁকে বাইপাসের ধারের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে দুই কৃতি সন্তান হার্ভাডের গবেষক সুগত বসু এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিক্সের অধ্যাপক সুমন্ত বসু কলকাতায় চলে এসেছিলেন। তাঁর আরেক সন্তানের নাম শর্মিলা বসু।
জন্ম ১৯৩০ সালে
১৯৩০ সালের ২৬ ডিসেম্বর তাঁর জন্ম ঢাকায়। বাবা ছিলেন সংবিধান বিশারদ চারুচন্দ্র চৌধুরী। ৪০ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন সিটি কলেজে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর হয়েছিলেন তিনি। আট বছর সিটি কলেজের অধ্যক্ষার দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। উত্তর প্রদেশের লখনৌ-এর ভাতখাণ্ডে মিউডিক ইনস্টিটিউট থেকে সঙ্গীত বিষারদ ডিগ্রি পেয়েছিলেন।
১৯৯৬ সাল থেকে পরপর ৩ বার যাবদপুরের সাংসদ
নেতাজি ভাইপো শিশু চিকিৎসক শিশির কুমার বসুর সহধর্মিনী ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে পরপর তিনবার যাদবপুর থেকে লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। সাংসদ থাকার সময়ে বিদেশমন্ত্রকের কমিটির চেয়ারপার্সনও ছিলেন।