তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ! লোকসভার আগে বাংলার সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংকে থাবা
কংগ্রেস রাজ্যে এককভাবে লড়ার ব্যাপারে এগোচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে জোট সম্ভাবনা প্রায় নেই, সিপিএমের সঙ্গে জোট আলোচনা থমকে যাচ্ছে বারে বারে। এই অবস্থায় কংগ্রেস নিজেদের শক্তি বাড়াল।
কংগ্রেস রাজ্যে এককভাবে লড়ার ব্যাপারে এগোচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে জোট সম্ভাবনা প্রায় নেই, সিপিএমের সঙ্গে জোট আলোচনা থমকে যাচ্ছে বারে বারে। এই অবস্থায় কংগ্রেস নিজেদের শক্তি বাড়াল। আগে বিজেপি ঘর ভেঙে আরএসএসের প্রাক্তন প্রচারক অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে দলে এনেছিল কংগ্রেস। এবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান।
শুক্রবার প্রদেশে কংগ্রেস কমিটির জরুরি বৈঠকের পরই বিধানভবনে এসে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আলি শাহ। শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল প্রাক্তন বাম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের। কিন্তু তিনি এদিন দলে যোগ দেননি। কংগ্রেসে মত পার্থক্য থাকার জন্য তাঁকে দলে যোগ দান করানো হয়নি।
উল্লখ্য, লক্ষ্মণ শেঠকে দলে নিলে দল ছাড়ার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন বিধানসভা বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। তাই সোমেন মিত্র লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়ে ধীরে চলো নীতি নেন। তিনি দল ভারী করতে লক্ষ্মণ শেঠকে দলে নিতে অরাজি না হলে, একপক্ষ তীব্র আপত্তি জানাচ্ছে, তাতেই বিপত্তি বাধে। আসলে লক্ষ্মণ শেঠের অতীতকে ভয় পাচ্ছে কংগ্রেসকে। তাঁকে দলে নিয়ে উল্টো ফলও হতে পারে ধারণা কংগ্রেসের।
এদিন বাম-কংগ্রেস জোটের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। উভয় দলের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে কথা চালাচালি শুরু হয়েছে সম্প্রতি। শুরু হয়েছে একে অপরের উপরের চাপ সৃষ্টি খেলা। সেই খেলায় কংগ্রেস ৪২ আসনে প্রার্থী তালিকা তৈরি করে চাপ সৃষ্টি করল সিপিএমের উপর।