এগিয়েও সিবিআই-এ জুজু দেখলেন ভারতী! সাত দিনের মধ্যেই মামলা প্রত্যাহারে কী বার্তা
সিআইডির অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েওছিলেন ভারতী ঘোষ। সাত দিনের মধ্যেই রাজ্যের বিরুদ্ধে রণে ভঙ্গ দিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি প্রত্যাহার করে নিলেন ভারতীর আইনজীবী।
সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেও পিছপা হলেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। সিআইডির অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের স্বামী এম ভি রাজু। এরপর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই রাজ্যের বিরুদ্ধে রণে ভঙ্গ দিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি প্রত্যাহার করে নিলেন ভারতীর আইনজীবী।
[আরও পড়ুন:বাজেটের পরই সুখবর! কলকাতায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পথ চলা শুরু পুজোর আগেই ]
ইতিমধ্যেই ভারতী-কাণ্ডে সিআইডির তল্লাশিতে একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। বহু দুর্নীতির অভিযোগে ভারতী ঘনিষ্ঠ পুলিশ কর্তাদের হেফাজতেও নিয়েছে সিআইডি। এবং তারপর থেকেই ভারতীয় হদিশও মিলছে না। তিনি বাংলার বাইরে রয়েছেন বলেই সিআইডি সূত্রে খবর। এরই মধ্যে ভারতী দেবীর নয়া পদক্ষেপে জল্পনা শুরু হয়েছে।
সোমবার ভারতী ঘোষের আইনজীবী সিবিআই তদন্তের আর্জি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এর পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই সিবিআই তদন্তের আর্জি করেও তা কেন প্রত্যাহার করা হল, তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান ভারতীদেবীর স্বামী এম ভি রাজু। আর ১২ ফেব্রুয়ারি তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।
বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে এই আবেদন জানিয়েছিলেন রাজু। এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন ভারতী ঘোষের আইনজীবী জানান, আপাতত তাঁরা এই আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে চান। এবং তা মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। কিন্তু কেন সিবিআই তদন্তের পথে গেলেন না ভারতী? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যে ভারতী ঘোষ ও তাঁর দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কেশপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে ঘাটাল আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ফলে যে কোনও সময়ে গ্রেফতার হতে পারেন ভারতী। তারপরও সিবিআই তদন্তের আর্জি প্রত্যাহারে তৈরি হয়েছে ধন্দ।
ভারতীর আইনজীবীর যুক্তি, এই মামলায় আরও কিছু নথিপত্র অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। মামলা দায়েরের পর আরও অনেক অভিযোগ উঠেছে। ফলে নতুন করে ফের আবেদন করা হবে। সেইসঙ্গে নতুন কিছু নথিপত্রও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই যুক্তি অবশ্য ভিত্তিহীন বলে মনে করছে রাজ্যের অ্যাডভেকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তাঁর কথায়, নথিপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে মামলা প্রত্যাহারের প্রয়োজন হয় না। হলফনামা জমা দিলেই হয়। মামলা প্রত্যাহারের পিছনে ওই যুক্তির কোনও সারবত্তা নেই।
[আরও পড়ুন: ফের কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল, অধীরের 'ঘর'-এ ঢুকে প্রত্যাঘাত শুভেন্দুর]