গুরুতর অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন হেভিওয়েট সাংসদ! দেখতে গেলেন পুরনোদলের সঙ্গীরা
বাইপাসের হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি আরামবাগের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ অনিল বসু।খবর পাওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে দেখতে দিয়েছিলেন কান্তি গাঙ্গুলি, সুধাংশু শীল, শ্যামল চক্রবর্তীর মতো সিপিএম নেতারা
বাইপাসের হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি আরামবাগের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ অনিল বসু। খবর পাওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে দেখতে দিয়েছিলেন কান্তি গাঙ্গুলি, সুধাংশু শীল, শ্যামল চক্রবর্তীর মতো সিপিএম নেতারা। ২০১২ সালে তাঁকে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
হাসপাতালে অনিল বসুকে দেখে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি পোস্ট করেন সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। এরপরেই দলীয় সমর্থকদের আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন অনিল বসু। অনিল বসুর ওপর থেকে বহিষ্কারের শাস্তি তুলে নেওয়া হবে কিনা সেই প্রশ্নও ওঠে। কেননা দিন কয়েক আগেই সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর পরিবারের তরফে সিপিএম নেতৃত্বের প্রতি খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠেছিল।
বিষয়টিকে মানবিকতার দিক থেকে দেখার কথা জানিয়েছেন শ্যামল চক্রবর্তী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, বহিষ্কৃত হলেও সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় কিংবা অনিল বসুর সঙ্গে তাঁর অনিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সেরকমই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়ার পর অনিল বসুকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।
আরামবাগ কেন্দ্র থেকে পরপর সাতবারের সিপিএম সাংসদ ছিলেন অনিল বসু। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার সেখান থেকে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে ওই একই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল। সেবিষয়ে প্রথমে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। এই ঘটনায় সিপিএম-এর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। খানিকটা এই অভিযোগকে সামনে রেথেই ২০১২ সালে তাঁকে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।