সোমনাথের পর প্রয়াত আরও এক প্রাক্তনী! শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ অনিল বসুর
বাইপাসের হাসপাতালে প্রয়াত প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ অনিল বসু। পরপর সাতবার তিনি আরামবাগ থেকে সিপিএম-এর সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিডনি-সহ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে দীর্ঘদিন বাইপাসের হাসপাতালে ছিলেন
বাইপাসের হাসপাতালে প্রয়াত প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ অনিল বসু। পরপর সাতবার তিনি আরামবাগ থেকে সিপিএম-এর সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিডনি-সহ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাইপাসের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সকালে সাড়ে দশটা নাগাদ সেখানেই মৃত্যু হয় অনিল বসুর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় খবর পাওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে দেখতে দিয়েছিলেন কান্তি গাঙ্গুলি, সুধাংশু শীল, শ্যামল চক্রবর্তীর মতো সিপিএম নেতারা। মূলত যোগাযোগ রাখছিলেন শ্যামল চক্রবর্তী। ২০১২ সালে তাঁকে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
হাসপাতালে অনিল বসুকে দেখে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি পোস্ট করেন সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। এরপরেই দলীয় সমর্থকদের আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন অনিল বসু। অনিল বসুর ওপর থেকে বহিষ্কারের শাস্তি তুলে নেওয়া হবে কিনা সেই প্রশ্নও ওঠে। যদিও তা আর হল না। প্রায় আড়াই দশক সাংসদ থাকলেও শেষ যাত্রায় দলের পতাকায় ঢাকা যাচ্ছে না অনিল বসুকে।
শ্যামল চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, বহিষ্কৃত হলেও সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় কিংবা অনিল বসুর সঙ্গে তাঁর অনিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সেরকমই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়ার পর অনিল বসুকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।
আরামবাগ কেন্দ্র থেকে পরপর সাতবারের সিপিএম সাংসদ ছিলেন অনিল বসু। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার সেখান থেকে নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে ওই একই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে রেকর্ড ভোটে জিতেছিলেন তিনি।
পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল। সেবিষয়ে প্রথমে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। এই ঘটনায় বিমান বসু-সহ সিপিএম-এর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। খানিকটা এই অভিযোগকে সামনে রেথেই ২০১২ সালে তাঁকে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর অনিল বসুর জন্ম হুগলির খানাকুলে।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সিপিএম সম্পাদক শমীক লাহিড়ী অনিল বসুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। তিনি অনিল বসুর শেষযাত্রাতেও শামিল হবেন বলে জানা গিয়েছে।