আলাপনেই আস্থা মমতার! রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব
বিতর্কের মধ্যেও আস্থা আলাপনেই! রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। দরঘ ১১ বছর পর রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নতুন কাউকে আনা হল। দীর্ঘদিন এই পদে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ছিলে
বিতর্কের মধ্যেও আস্থা আলাপনেই! রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। দরঘ ১১ বছর পর রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নতুন কাউকে আনা হল। দীর্ঘদিন এই পদে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ছিলেন। এবার সেই পদেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে আনা হল।
অন্যদিকে কাস্ট-এর চেয়ারম্যান পদেও বেশ কিছু রদবদল নবান্নের তরফে করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল সুগত বসুকে। বলে রাখা প্রয়োজন, এর চেয়ারম্যান পদে ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এই রদবদল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই সুগত বসু এবং আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে দুজনের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি,
কিন্ত্য হঠাত কেন সরানো হল শুভাপ্রসন্নকে?
কিন্ত্য হঠাত কেন সরানো হল শুভাপ্রসন্নকে? রাজ্যে পালাবদলের পরেই রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল এই চিত্র শিল্পীকে। দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে শুভাপ্রসন্ন তাঁর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তবে তাঁকে সরিয়ে আলাপনবাবুকে নিয়ে আসা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে জানা যাচ্ছে, হেরিটেজ কমিশনে নতুন কোনও মুখ খোঁজা হচ্ছিল। যিনি কিনা নবীন। এমনটাই প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। আর তাতেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সামনে আসে। এবং তাতেই শিলমহর পড়ে।
খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে শুভাপ্রসন্নের সম্পর্ক ভালো। তবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে সবসময় ভরসা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে অবসরের পরেও মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেব কাজ করছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে অনেকটাই ভরসা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর তাই এবার তাঁকেই হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করা হল। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত দেখেছে দেশের মানুষ
বলে রাখা প্রয়োজন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে কার্যত কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত দেখেছে দেশের মানুষ। মোদীর ডাকা বৈঠকে অংশ না নিয়েই মমতার সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন আলাপন। আর এরপর মুখ্যসচিব হিসাবে দায়িত্ব বাড়ানোর পরেও তা খারিজ করে দেয়। শুধু তাই নয়, দ্রুত দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। যদিও আলাপনকে আটকাতে কেন্দ্রকে চিঠি লেখেন মমতা। না জানিয়ে কেন আলাপনকে দিল্লিতে তলব তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্ত্য এরপরেও অবস্থানে অনড় ছিল কেন্দ্র। এবং পরবর্তীকালে আইনি লড়াইয়ের জায়গাও তৈরি হয় আলাপনের সঙ্গে। তবে বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে আলাপনকে নিয়োগ খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।