মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান বিভ্রাটে চক্রান্তই দেখছে তৃণমূল, নালিশ জানাবে রাষ্ট্রপতির কাছেও
মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান বিভ্রাটে চক্রান্তই দেখছে তৃণমূল। এ জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে নালিশ জানানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
কলকাতা, ১ ডিসেম্বর : মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান বিভ্রাটে চক্রান্তই দেখছে তৃণমূল। এ জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে নালিশ জানানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। কেন বিমানটির জ্বালানি ফুরিয়ে এসেছে জানানোর পরও ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় বিমান ল্যান্ডিং করানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরসঙ্গী পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ভগবান সহায় ছিল বলেই আমরা বেঁচে গিয়েছি। তাঁর অভিযোগ, জ্বালানি ফুরিয়ে আসায় এআইএ-কে জানানো হয়েছিল রাত ৮টা নাগাদ। ৮টা ১৩ মিনিটে যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও বিমান ল্যান্ডিং হল ৮টা ৪৫ মিনিটে। এর মধ্যে কোনও চক্রান্ত রয়েছে বলেই মনে করছে তৃণমূল।
তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এটা কোনও সাধারণ ঘটনা হতে পারে না।
পাটনা থেকে কলকাতা ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানে জ্বালানি কমে আসায় জরুরি অবতরণ করতে চান পাইলট। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ। এআইএ সূত্রে জানানো হয়েছে, একসঙ্গে দু'টি বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে আসায় জরুরি অবতরনের আর্জি জানানো হয়। যেহেতু অন্য বিমানে জ্বালানি একেবারেই কম ছিল, সেই বিমানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় জরুরি অবতরনের। পরে নামানো হয় মুখ্যমন্ত্রী বিমান।
পাটনা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিট নাগাদ আকাশে ওড়ে। ৮টা ১৩ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সম্ভবপর হন পাইলট। কিন্তু পাইলটকে জানানো হয়, রানওয়ে ফাঁকা নেই। এখনই বিমান অবতরণ করা সম্ভব নয়। বিমান বন্দর থেকে সাতটি বিমান ওড়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর বিমান নামানো হয়। প্রশ্ন ওঠে, যদি দু'টি বিমান একসঙ্গে সঙ্কটে পড়ে, তখন দু'টি বিমান একসঙ্গে ল্যান্ডিং করার মতো পরিকাঠামো কেন নেই বিমানবন্দরে?
উল্লেখ্য, ইন্ডিগোর যে বিমানে মুখ্যমন্ত্রী এদিন পাটনা থেকে কলকাতা ফেরেন, ওই বিমানটির দিল্লি, লখনউ, কলকাতা হয়ে বেঙ্গালুরু উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকেই খারাপ আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকবার রুট বদল করতে হয় বিমানটি। সেই কারণেই জ্বালানি সঙ্কটে পড়ে।