১৪ মে পঞ্চায়েত ভোটে বড় প্রশ্নচিহ্ন! ই-নোমিনেশনের যুগান্তকারী রায়ে বিপাকে কমিশন
ই-নোমিনেশনকে মান্যতা দিয়ে হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়ের ফলে পঞ্চায়েত ভোটের জট আরও বাড়ল। ১৪ মে নির্বাচন আদৌ হবে কি না, তা নিয়েই এখন ঘোর সংশয়।
ই-নোমিনেশনকে মান্যতা দিয়ে হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়ের ফলে পঞ্চায়েত ভোটের জট আরও বাড়ল। ১৪ মে নির্বাচন আদৌ হবে কি না, তা নিয়েই এখন ঘোর সংশয়। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক ছ-দিন আগে ই-নোমিনেশন গ্রহণ করার নির্দেশ জারিতে কমিশন শুধু অপদস্ত হল না, ঘোষিত দিনে নির্বাচন করা নিয়ে বিপাকে পড়ল কমিশন।
[আরও পড়ুন:ই-মেলে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন! কেন এই প্রক্রিয়া, যা যুক্তি দিল হাইকোর্ট]
সিপিএম দাবি করেছে, প্রায় হাজার প্রার্থীর মনোনয়ন ই-মেলের মাধ্যমে তাঁরা পাঠিয়েছিলেন। ই-মেল থেকে এই বিপুল সংখ্যাক প্রার্থীর নোমিনেশন পত্র বের করে তা স্ক্রুটনি করতে হবে। এর ফলে বহু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসনে ফের ভোট হবে। সেই আয়োজন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এই স্বল্প সময়ে নির্বাচন কমিশন তা পেরে ওঠে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন।
মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্ব মেটার পর জানা গিয়েছিল প্রায় ১১ হাজার বুথে নির্বাচন হবে না। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের পর সেই সমস্ত বুথের মধ্যে অনেক বুথেই আবার নির্বাচন হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হল। এখন স্ক্রুটনি থেকে শুরু করে ব্যালট পেপার ছাপানো-সহ যাবতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা কমিশনের কাছে দুরুহ।
তাই রাজনৈতিক মহল ও বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, এই স্বল্প সময়ের মধ্যে ভোট করা একপ্রকার অসম্ভব। সব মিলিয়ে ১৪ মে-র ভোট পিছিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন তাঁরা। এরপর রয়েছে প্রধান বিচারপতির এজলাসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পঞ্চায়েত ভোটের মূল মামলা। প্রধান বিচারপতির রায়ের উপরই নির্ভর করবে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ।
[আরও পড়ুন:ই-নোমিনেশনে মান্যতা হাইকোর্টের, পঞ্চায়েত মামলায় যুগান্তকারী রায়ে বিজয়ী সিপিএম]