তৃণমূল সাংসদের এক মেলেই ‘ভুল’ শুধরালেন নির্বাচন কমিশনার! যত কাণ্ড পঞ্চায়েতে
সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবারও মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই বদলে গেল নির্দেশিকা।
সোমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবারও মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই বদলে গেল নির্দেশিকা। আগের নির্দেশিকা বাতিল হয়ে গেল হঠাৎই। কেন এমন ঘটল? এক রাতের মধ্যে কী এমন ঘটল, যে রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে গেল নির্দেশিকা?
বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনারের এই ডিগবাজি খাওয়ার পিছনে রয়েছে একটি মেল। তৃণমূলের আইনজীবী-সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটিমাত্র মেলই বদলে দিল সব কিছু। নির্বাচন কমিশন বলছে, তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশের পর পঞ্চায়েত আইন খতিয়ে না দেখেই নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেই ভুল তারা শুধরে নিয়ে নির্দেশিকা বাতিল করে দেয় এদিন।
অর্থাৎ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই মেলই ভুল শুধরে নিতে সাহায্য করেছে নির্বাচন কমিশনকে। তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কমিশনের বিজ্ঞপ্তি সম্পূর্ণ বেআইনি। তা জানার পরই আমি রাতে মেল করি। কীভাবে ওই নির্দেশিকার ফলে আইন লঙ্ঘন হচ্ছে তা জানাই মেলের মাধ্যমে। এবং সেইসঙ্গে আবেদন জানাই ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের জন্য।'
কল্যাণবাবুর কথায়, 'ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬/২ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে যদি অনেক অভিযোগ জমা পড়ে, তাহলে নির্দেশিকা জারি করে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মনোনয়ন এসিডিও বা বিডিও অফিসে জমা নিতে পারে। ওই আইনেই বলা আছে, নির্বাচন কমিশনের ভোটের বিজ্ঞপ্তিতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ থাকতে হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে তা ছিল না। সুতরাং নতুন করে সমসয়সীমা বৃদ্ধির নির্দেশিকা অবৈধ।'
কল্যাণবাবু এই বিষয়টিই তুলে ধরেন তাঁর মেলে। তিনি বলেন, নতুন করে যে নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন, তা পঞ্চায়েত আইন বিরুদ্ধ। তাই অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা দরকার। এরপরই নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার সকালে নয়া নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচন কমিশনার বলেন, পঞ্চায়েত আইন না খতিয়ে দেখেই হাইকোর্টের নির্দেশ পালনে মনোনয়নের সময় বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। পরে পঞ্চায়েত আইন খতিয়ে দেখে তা প্রত্যাহার করা হল।