সাবেকিয়ানা বজায় রেখে পুজোর জাঁক জমক এবার কম শহরের হেভিওয়েট একডালিয়া এভারগ্রিনে
কলকাতা শহরের দুই হেভিওয়েট ও ঐতিহ্যময় পুজো বলতে দক্ষিণের সিংহি পার্ক ও একডালিয়া এভারগ্রিন। প্রতিবছরই এই দুই পুজোর মধ্যে চলে ভিড় টানার লড়াই, যদিও দু’জনের মধ্যে কেউই কম যায় না। না, সেভাবে থিম হয়ত এখানে চোখে পড়ে না, তবে একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোয় দেখা যায় কোনও দেশ বা রাজ্যের মন্দির বা সংস্কৃতি। প্রতি বছরের সেই জৌলুস এ বছর কিছুটা হলেও কম দেখতে পাওয়া যাবে একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজোয়।

৭৮ বছরের পুরনো এই পুজোর বিশেষত্বই হল আকর্ষক মণ্ডপের বহিরঙ্গ এবং অন্দরের অসাধারণ কারুকার্য। তবে করোনা আবহে এ বছর কিছুটা হলেও এই সবকিছুর মধ্যে ভাটা পড়েছে। এ বছর দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সজ্জা করা হয়েছে। মণ্ডপের চারপাশে সামাজিক বার্তা দেওয়া আছে, আলোক সজ্জাতেও করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। পুজোর এক উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, মণ্ডপের বাইরের জৌলুস অনেকটাই কমানো হয়েছে। মণ্ডপের ভিতরেও সাজসজ্জা যেটুকু না হলে নয়, সেই টুকুই রাখা হচ্ছে।
তবে প্রতিমা প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও সাবেকি। থাকবে চিরাচরিত ঐতিহ্যময় ঝাড়বাতিও। মণ্ডপের বাইরে ফাইবার, পাকা রঙ দিয়ে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি করা হয়েছে। সোমবার থেকেই একটু একটু করে দর্শনার্থীরা এসে এই মণ্ডপ পরিদর্শন করে যাচ্ছেন। তবে পুজোর পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এ বার হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

রামচন্দ্রের অকালবোধনের নিয়মেই দেবী মা পূজিত হন দক্ষিণ দিনাজপুরের এই গ্রামে