
করোনা কালে প্রোটিন চাই শরীরে, আলু, পেঁয়াজের পর এবার ডিমের দামেও ছ্যাঁকা
মাছ, মাংস, আলুর পর এবার ডিমের দামও আগুন রাজ্যে। মধ্যবিত্ত মানুষ ডিম ভাত খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। এবার তাতেও কোপ বসিয়েছে ফাটকা কারবারীরা। পাইকারি বাজারে ১০০ ডিমের দাম বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৫৮০ থেকে ৫৮৫ টাকা। আগে যেখানে ১০০ টিম কিনতে ৪০০ টাকা দিলেই হত। যার জেরে খোলা বাজারেও ৫ টাকা থেকে ৬টাকা হয়ে গিয়েছে দাম। সেটা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অগ্নি মূল্য ডিম
আলুর দাম তো বেড়েই ছিল। মাছ-মাংস তো বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার সাধারণ মানুষের পাত থেকে বাদ হতে চলেছে সস্তার ডিমও। ডিমের দাম হু হু করে বাড়ছে রাজ্যে। কিন্তু এবার আর ডিমও জুটবে না পাতে। সাধারণ পল্ট্রির ডিমের দাম খুচরো বাজারে ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা হয়ে গিয়েছে। আগে যেখানে ৫টাকা করে পাওয়া যেত ডিমের যোগানের সংকটের কারণেই এই মূল্য বদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে।

পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি
পাইকারি বাজারেও ডিমেপ দাম বেড়েছে। আগে যেখানে ১০০টি ডিম ৪০০ টাকা পাওয়া যেত। সেই ১০০টি ডিম পেতে এখন ৫৮০ থেকে ৫৮৫ টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে। যার জেরে খোলা বাজারেও দাম বাড়তে শুরু করেছে ডিমের। এখন সাধারণ ডিম ভাত খাওয়ার ইচ্ছেও শিকেয় তুলতে হবে মধ্যবিত্তকে।

করোনা কালে প্রোটিন চাই
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বেশি করে প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সকলের পক্ষে প্রতিদিন মাছ মাংস খাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া মাছ মাংসের দামও অনেকটা বেশি। মুরগির মাংসের দামও বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি একমাত্র ডিমই ছিল সস্তায় শরীরে প্রোটিন যোগানোর একমাত্র পথ। সেটাও এবার দামের কারণে বন্ধ করে দিয়ে হবে সাধারণ মানুষকে।

ট্রাক ধর্মঘট
তার উপরে আবার ১২ তারিখ থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে ট্রাক ধর্মঘট। তাতে বাইরের রাজ্য থেকেও ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনগুলি। মাছ, মাংস, ডিম, ওষুধ কোনও ক্ষেত্রের ট্রাককে রাজ্য ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তারা। পুজোর মুখে আরও অগ্নিমূল্য হতে চলেছে ডিমের দাম।