কলকাতার ইডির অফিসেই জেরা করতে হবে অভিষেকের শ্যালিকাকে: হাইকোর্ট
দিল্লি নয়, কলকাতাতেই জেরা করা হোক। এই আবেদন নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মেনোকা। কার্যত আজ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেই মামলার শুনানিতে মেনোকা গম্ভীরের আবেদনকেই মান্যতা দেয় আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনোকা গম্ভীর। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কলকাতা অফিসে জেরা করবার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। দিল্লি নয়, কলকাতাতেই জেরা করা হোক। এই আবেদন নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মেনোকা।
কার্যত আজ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানিতে মেনোকা গম্ভীরের আবেদনকেই মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কার্যত খারিজ ইডির আইনজীবীর যুক্তি।
মেনোকা গম্ভীরকে জেরা করতে হবে ইডিকে
তবে শুনানি শেষে আদলত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কলকাতাতেই মেনোকা গম্ভীরকে জেরা করতে হবে ইডিকে। আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর সকাল ১০:৩০ টায় জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হবে বলেও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, আপাতত কোন কড়া পদক্ষেপ ইডি নিতে পারবে না বলেও স্পষ্ট নির্দেশিকাতে এদিন জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এদিন শুনানিতে ইডির তরফে যে গোপনীয় নথির যুক্তি খাড়া করছে তা গ্রহনযোগ্য নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ, নথি দিল্লি থেকে কলকাতা আনা যাবে না এই যুক্তিও গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন অভিষেক শ্যালিকা।
দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়।
কয়লা-কান্ডে জেরা করতে করতে চেয়ে আজ মঙ্গলবার জোড়া সমন পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুখ্যন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কাকে সত্যি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তলব করা হয় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের শ্যালিকা মেনোকাকে। কিন্তু তাঁকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়। আর এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মেনোকা। যেখানে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সেটা এই রাজ্যে ঘটেছে
মামলার শুনানিতে মেনকা গম্ভীরের আইনজীবী বলেন, যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে ডাকা হচ্ছে সেটা এই রাজ্যে ঘটেছে। তাই দিল্লিতে কেন ডেকে পাঠানো হচ্ছে? কেন কলকাতা জেরা করা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেক্ষেত্রে কেন মেনোকাকে এই সুবিধা দেওয়া হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
মামলাকারিকে যেতেই হবে।
দীর্ঘ শুনানিতে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যরের পর্যবেক্ষণ, ইডি যখন ডেকেছে তখন মামলাকারিকে যেতেই হবে। সে নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। প্রশ্ন একটাই, যে এই হাজিরা দিল্লিতে হবে না কি কলকাতায়? তিনি যদি সমন খারিজের আবেদন করতেন তাহলেও সেই আবেদন আমি মঞ্জুর করতাম না। কিন্তু কলকাতাতে হাজিরা দিলে সমস্যা কোথায়? যদিও দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষে কলকাতা ইডি অফিসেই তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার জন্যে নির্দেশ অভিষেক শ্যালিকাকে।