নারদ তদন্তে 'ভুয়ো' তথ্য! ইডির অনুরোধে তদন্তে আয়কর বিভাগ
নারদ তদন্তে ভুয়ো তথ্য জমা দেওয়ার অভিযোগ। সূত্রের খবর অনুযায়ী,মেয়র পত্মী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্যে সন্তুষ্ট নয় ইডি।জমা দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য ইডির তরফে তা আয়কর বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে
নারদ তদন্তে ভুয়ো তথ্য জমা দেওয়ার অভিযোগ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মেয়র পত্মী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্যে সন্তুষ্ট নয় ইডি। জমা দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখার জন্য ইডির তরফে তা আয়কর বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে আয়কর দফতর চাইলে তদন্ত করে দেখতেই পারে বলে মন্তব্য করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
নারদ তদন্ত। তদন্তের মধ্যেই পারিবারিক গোলযোগ। সেটা নিয়ে শুনানি চলছে আদালতে। আবার নারদ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিও। ইডি সূত্রে খবর, রত্না চট্টোপাধ্যায় যে সব কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, তাতে লোন দেওয়া নেওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ইডির মনে হয়েছে, ভুয়ো সংস্থা খুলে টাকা লেনদেন দেখিয়ে, কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জমা দেওয়া তথ্যে গিফট ডিডও পাওয়া গিয়েছে। পুরো বিষয়টিতে টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অনুমান ইডির। ফলে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য আয়কর বিভাগকে জানিয়েছে ইডি।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আয়কর দফতর চাইলেই তদন্ত করতে পারে। তবে কোনও ভুয়ো সংস্থার কথা তিনি জানেন না, দাবি করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
মাস তিনেক আগে নারদ কাণ্ডে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন মেয়র পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ছয় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি ব্যবসায়ী। নভেম্বরে জমা দেওয়া নথি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতেই তাঁকে ডাকা হয়েছিল।
একাধিকবার ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। ২০১৭-র নভেম্বরে তিনি প্রথমবার ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। সেই সময় যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের নথি তিনি জমা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে নথি যাচাইয়ের জন্য ডাকা হলেও, বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
নারদা কাণ্ডে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তখন তিনি বলেছিলেন পরিবারের আর্থিক লেনদেন সামলান তাঁর স্ত্রী। এরপর অবশ্য বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন তিনি।