১৯ নয়, নিয়োগের জন্যে ৩০ কোটি টাকা ঘুষ হিসাবে নিয়েছিলেন ধৃত কুন্তল! ইডির হাতে 'রহস্যময়' ডায়েরি
১৯ কোটি নয়, নিয়োগের জন্যে ৩০ কোটি টাকা ঘুষ হিসাবে নিয়েছিল ধৃত কুন্তল! আদালতে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
১৯ কোটি নয়, নিয়োগের জন্যে ৩০ কোটি টাকা ঘুষ হিসাবে নিয়েছিলেন ধৃত কুন্তল! আদালতে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত ২৪ ঘন্টারও প্রায় বেশি সময় ধরে ধৃত কুন্তলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। এরপর আজ শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আর এরপরেই আদালতে তোলা হলে কুন্তলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শুধু তাই নয়, ইডি বলছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে যত গভীরে যাওয়া যাচ্ছে তাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর মোড় আসছে।
এমনকি প্রশান্ত মহাসাগরের সঙ্গেও এই তদন্তকে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
শাসকদলের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ তাঁর
যদিও গ্রেফতারের পরেই কুন্তলের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এমনকি তাপস মন্ডলকে টাকা না দেওয়ার জন্যেই নাকি তাঁর এই অবস্থা বলেও দাবি করেন। যদিও আদালতে এদিন কুন্তলের বিরুদ্ধে একেবারে নির্দিষ্ট কিছু প্রমাণ তুলে ধরেন তদন্তকারীরা। আর এরপরেই ১৪ দিনের হেফাজতের জন্যে আদালতের কাছে দাবি করে ইডি। আইনজীবী মারফৎ তদন্তকারীরা জানান, ধৃত কুন্তল একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। শাসকদলের একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ তাঁর আছে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত সেটাও খুঁজে বের করতে হবে বলে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবীরা।
ইডির হাতে রহস্যময় ডায়েরি
ইডির দাবি, প্রাইমারি কিংবা আপার প্রাইমারিতেই নয়, নবম এবং দশম শিক্ষক নিয়োগেও মোটা অঙ্কের বিনিময়ে চাকরি করে দেওয়ার আশ্বাস কুন্তল দেয় বলে দাবি ইডির। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়ি থেকে একটি ডায়েরি পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। আর সেখানেই নাকি ৩০ কোটি টাকার ঘুষ নেওয়ার অঙ্ক স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, সেই ডায়েরিতে স্পষ্ট লেখা আছে কোথায় কাকে কার কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে। এমনকি কুন্তল নাকি নিজে টাকা নেওয়ার কথা ইডির কাছে স্বীকার করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে এদিন আদালতে কাছে কুন্তলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর নথি তুলে দেন
কী বলছেন কুন্তলের আইনজীবী!
অন্যদিকে কুন্তলের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানান। সওয়াল জবাবে তাঁর দাবি, কুন্তল সবরকম ভাবে তদন্তে সাহায্য করছিল। যতবার ডেকেছে গিয়েছে। কিন্তু চার্জশিটে নাম থাকা সত্ত্বেও মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। কেন এমন বৈষম্য তা নিয়ে আদালতের কাছে প্রশ্ন তোলেন কুন্তলের আইনজীবী। এখনও মামলার শুনানি চলছে। চূড়ান্ত কোনও নির্দেশ এখনও পর্যন্ত শোনায়নি আদালত।