রোজভ্যালিকাণ্ডে আরও গ্রেফতারির আশঙ্কা, ২৭০০ কোটি টাকার নয়া মামলা ইডি-র
জেলে রয়েছেন রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডু। কিন্তু তারমধ্যেই নাকি হাত বদল হয়ে গিয়েছে ২৭০০ কোটি টাকা।
জেলে রয়েছেন রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডু। কিন্তু তারমধ্যেই নাকি হাত বদল হয়ে গিয়েছে ২৭০০ কোটি টাকা। এই নিয়ে বেশকিছু তথ্য-প্রমাণ ইডি-র হাতে এসেছে। যার জেরে রোজভ্যালির তিন সংস্থার বিরুদ্ধে ২৭০০ কোটি টাকার নয়া মামলা দায়ের করেছে আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা।
শনিবার বিচারভবনের সিবিআই-এর এক নম্বর কোর্টে এই মর্মে মামলা দায়ের করা হয়। ইডি সূত্রে খবর রোজভ্যালির অধিকাংশ সংস্থাই সিল করে দেওয়া হয়েছে। ২,০০০ কোটি টাকারও বেশির সমপত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু, এরপরও রোজভ্যালির তিন সংস্থা থেকে ২৭০০ কোটি টাকা এই এক বছরের মধ্যে হাত বদল হয়েছে বলে অভিযোগ। রোজভ্যালির নির্মাণসংস্থা, হোটেল সংস্থা ও ফিল্ম সংস্থা থেকে এই অর্থ সরানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই মামলায় রোজভ্যালির তিন সংস্থার বেশকিছু কর্মী ও কর্তার জড়িত থাকারও প্রমাণ ইডি-র হাতে এসেছে। এদিন আদালতে এই কর্মী ও কর্তাদের তালিকা জমা করে সমন পাঠানোর আর্জি জানিয়েছে ইডি। রোজভ্যালির এই তিন সংস্থার কর্মী ও কর্তা যারা আর্থিক তচ্ছরূপে জড়িত তারা আত্মসমর্পণ করলে ভালো নয়তো এদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও ইডি সূত্রে খবর।
রোজভ্যালিকাণ্ডে চার বছর ধরে জেলে রয়েছেন চেয়ারম্যান গৌতম কুণ্ডু। এমনকী, একটা সময় এই সংস্থার একাধিক কর্তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরমধ্যে কয়েক জন এখন জামিনে জেলের বাইরে। রোজভ্য়ালিকাণ্ডে বেসরকারি মতে এই তচ্ছরূপের অঙ্ক ২৫,০০০ কোটি টাকা। যদিও, সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ৮,০০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির কথা জানা গিয়েছে। কিন্তু, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে ইডি এখন পর্যন্ত মাত্র ৫,০০০ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে।
আদালত রোজভ্যালির আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের নির্দেশ দিলেও সে কাজ এখনও সেভাবে এগোয়নি। যার জেরে দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি আবেদনও জমা দেয় রোজভ্য়ালির আমানতকারী ও রোজভ্য়ালি ফিল্ড-কর্মী অ্যান্ড এপ্লিয়জ-এর যৌথ ফোরাম। সেখানে একাধিক দাবি-দাওয়া পেশ করা হয়। অবিলম্বে যাতে অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হয় তার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে।