তৃণমূলের দুই সাংসদকে তলব রোজভ্যালিকাণ্ডে, লোকসভার আগে তদন্তে সক্রিয় ইডি
রোজভ্যালি-কাণ্ডে ফের তলব করা হল তৃণমূলের দুই সাংসদ তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ইডির তরফে দুই সাংসদকে তলব করা হয়েছে যথাক্রমে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার।
রোজভ্যালি-কাণ্ডে ফের তলব করা হল তৃণমূলের দুই সাংসদ তাপস পাল ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ইডির তরফে দুই সাংসদকে তলব করা হয়েছে যথাক্রমে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার। উল্লেখ্য, রোজভ্যালিকাণ্ডে নতুন করে জায়ের করা মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই তলব করা হয়েছে দুই সাংসদকে।
রোজভ্যালি হোটেল, রোজভ্যালি এন্টারটেইনমেন্ট ও রোজভ্যালি রিয়েল এস্টেট- এই তিন সংস্থার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছে ইডি। তিনটি সংস্থায় বিরুদ্ধেই আর্থিক তছরূপের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোট ১৭ হাজার ৫২০ কোটি টাকা তছরূপ করা হয়েছে। তিন সংস্থার কর্তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। তাদেরও খুব শীঘ্রই সমন পাঠানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা বড় বালাই! ড্রেনে নেমে পাঁক তুললেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী]
লোকসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে চিটফান্ড মামলা। বিশেষ করে সারদা ও রোজভ্যালি এবং তার সঙ্গে নারদ মামলায় তলব করা হচ্ছে অভিযুক্তদের। হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। সেইসঙ্গে রোজভ্যালি কাণ্ডেও সক্রিয় হল ইডি।
[আরও পড়ুন: বিজেপি 'ফোবিয়া'য় ভুগছে তৃণমূল! বিস্ফোরণের পাল্টা তোপে নকশাল-কাঁটা ছড়ালেন দিলীপ]
রোজভ্যালি-কাণ্ডে তাপস পাল গ্রেফতার হয়েছিলেন ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর। তাপস পাল গ্রেফতারের ছ-দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের আরও এক সাংসদ লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০১৭-র ১৯ মে জামিন পান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জামিনের সাড়ে আট মাস পর ২০১৮-র ১ ফেব্রুয়ারি জামিন পান তাপস পাল।