এক যুগ আগের বিহারে পরিণত হয়েছে বাংলা! বিশেষ পর্যবেক্ষকের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্ষবেক্ষক অজয় নায়েকের। তিনি বলেছেন, এই রাজ্যের পরিস্থিতি বছর দশেক আগের বিহারের মতো।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্ষবেক্ষক অজয় নায়েকের। তিনি বলেছেন, এই রাজ্যের পরিস্থিতি বছর দশেক আগের বিহারের মতো। তৃতীয় দফার নির্বাচনের ৯২ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়োগ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। অজয় নায়েক বলেন, এত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়োগ গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল লক্ষণ নয়। তবে তাঁর আশা ২০১৪ নির্বাচনে হয়তো পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। প্রসঙ্গত একটা সময় বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ছিলেন অজয় নায়েক।
কলকাতায়
মুখ্য
নির্বাচনী
আধিকারিকের
দফতর
থেকে
বেরনোর
সময়
তিনি
বলেন,
রাজ্যের
পুলিশের
ওপর
থেকে
বিশ্বাস
চলে
গিয়েছে
পশ্চিমবঙ্গের
মানুষের।
সেইজন্য
নির্বাচনে
বেশি
কেন্দ্রীয়
বাহিনী
নিয়োগের
দাবি
উঠছে।
[আরও পড়ুন: বিশেষ পর্যবেক্ষকের মন্তব্য ঘিরে তুলকালাম! অপসারণ দাবি করল তৃণমূল]
অজয়
নায়েকের
প্রতিক্রিয়া
বিহারের
পরিস্থিতির
উন্নতি
হয়েছে।
সেখানে
কম
সংখ্যায়
কেন্দ্রীয়
বাহিনী
লাগছে।
তিনি
বলেন,
তিনি
বুঝতে
পারছেন
না,
যদি
বিহারের
মানুষ
পরিস্থিতির
পরিবর্তন
করতে
পারেন,
তাহলে
কেন
পশ্চিমবঙ্গের
পরিস্থিতির
উন্নতি
হবে
না।
তিনি
বলেন,
২৩
এপ্রিল
তৃতীয়
পর্যায়ের
নির্বাচন।
পশ্চিমবঙ্গে
৫
টি
আসন,
বালুরঘাট,
মালদহ
উত্তর,
মালদহ
দক্ষিণ,
দঙ্গিপুর
এবং
মুর্শিদাবাদ
আসনের
নির্বাচনের
জন্য
৩২৪
কোম্পানি
কেন্দ্রীয়
বাহিনী
থাকছে।
সব
মিলিয়ে
৯২
শতাংশ
বুথে
কেন্দ্রীয়
বাহিনী
থাকছে
বলে
জানিয়েছেন
তিনি।
তবে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি উন্নতির ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। অজয় নায়েক বলেন, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে হয়তো এত কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে না।
১১ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচনে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের ৫১ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রায়গঞ্জ, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির জন্য ৮০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল।
১৯৮৪ ব্যাচের আইএএস অফিসারকে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।