অবশেষে টনক নড়ল মেট্রোর! যাত্রী ভোগান্তি দূর করতে পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হচ্ছে ই-পাস
অবশেষে টনক নড়ল মেট্রোর! যাত্রী ভোগান্তি দূর করতে পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হচ্ছে ই-পাস
নববর্ষের শুরুতেই মেট্রোযাত্রীদের জন্য বড়সড় সুখবর শোনাচ্ছে রাজ্য সরকার। লকডাউন পরবর্তী যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ ও মসৃণ করার লক্ষ্যমাত্রা আগেই নিয়েছিল সরকার, এবার সে পথেই আরও একধাপ এগোল প্রশাসন। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার থেকে ই-পাসের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে চলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, সোমবারের পর থেকে মেট্রোতে যাতায়াত করতে গেলে শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড থাকলেই হবে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মেট্রোয় আগের থেকে বাড়বে ট্রেনের সংখ্যা। স্বাভাবিকভাবেই মেট্রো-দুর্ভোগ থেকে স্বস্তি পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন দৈনিকযাত্রীরা।
আগের তুলনায় বাড়ছে মেট্রো
কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসি)-এর তরফে জানান হয়েছে, দৈনিক ২২৮টি ট্রেনের বদলে সোমবার থেকে চলবে ২৪০টি ট্রেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদলে যাবে দৈনিক সময়সূচী। যদিও আধিকারিকদের মতে, এখনই চালু হচ্ছে না টোকেন। বর্তমানে সকাল ৯ টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে ৭টার মধ্যে মেট্রোয় যাতায়াতের ক্ষেত্রেই মূলত দরকার হয় ই-পাস।
পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হতে চলেছে ই-পাসের ব্যবহার
পাতালপথে সর্বোচ্চ ভিড়ের সময়গুলিতে ই-পাস চালু করে ছিল সরকার। ভিড়ের মধ্যে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়ানোর লক্ষ্যেই মূলত ই-পাস চালু রাখা হয়েছিল বলে আগে জানিয়েছিল কেএমআরসি। যদিও সূত্রের মতে, দিনের এই চার ঘণ্টায় পুরুষ ছাড়া অন্যান্য যাত্রীদের ই-পাস দেখাতে হয় না। এমতাবস্থায় এবার অফিস টাইমেও ই-পাসের ব্যবহার বন্ধের দিকে এগোচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
ই-পাস বুকিংয়ে সমস্যায় প্রবীণ নাগরিকেরা
দীর্ঘ লকডাউনের পর আনলক পর্বে করোনা সংক্রমণ রুখতে মেট্রোয় টোকেন তুলে দেওয়া হয়। বদলে ই-পাসের মাধ্যমে আগে থেকে সিট বুক করার নিয়ম চালু করে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রবীণ নাগরিকদের বক্তব্য, স্মার্টফোন ব্যবহারে ততটা স্বচ্ছন্দ না হওয়ায় টিকিট বুক করার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হন তাঁরা। সূত্রের মতে, যাঁদের স্মার্টফোন নেই, আনলক পর্বে খুব দরকার থাকলেও মেট্রো পরিষেবা ব্যবহার করতে পারেননি তাঁরা।
ই-পাস বিতর্কের মাঝেই নয়া সিদ্ধান্ত মেট্রোর
ই-পাস বিতর্কের মাঝেই নিত্যযাত্রীদের এহেন সমস্যার কথা জানতে পেরে যাতায়াতের পদ্ধতি ধাপে ধাপে সরল করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাপে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য ই-পাস তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তী পর্যায়ে সাধারণ যাত্রীদের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ রাখা হয় ই-পাস। যদিও ই-পাস উঠে গেলেও টোকেন চালু না হওয়া পর্যন্ত যাঁদের স্মার্ট কার্ড নেই, তাঁরা এখনই মেট্রোয় উঠতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সেনার অন্দরে ব্যভিচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কোন আর্জি কেন্দ্রের?