বাইকের তাণ্ডব তো কোথাও স্পিড লিমিটকে বুড়ো আঙুল! জানেন পুজোর পাঁচদিনে কত ট্র্যাফিক মামলা হল?
পুজো মানেই বাঙালির বাঁধন ছাড়া উচ্ছ্বাস! নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে মজা। তবে এবার প্রথমদিন থেকেই কড়া কলকাতা পুলিশ। একেবারে কড়া হাতে ট্র্যাফিক সামলেছেন আধিকারিক। পুলিশের সমস্ত স্তরের অফিসাররা একেবারে ময়দানে নেমে কাজ সামলে
পুজো মানেই বাঙালির বাঁধন ছাড়া উচ্ছ্বাস! নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে মজা। তবে এবার প্রথমদিন থেকেই কড়া কলকাতা পুলিশ। একেবারে কড়া হাতে ট্র্যাফিক সামলেছেন আধিকারিক। পুলিশের সমস্ত স্তরের অফিসাররা একেবারে ময়দানে নেমে কাজ সামলেছেন। আর তাতে সব কিছু একেবারে স্মুথ ছিল।
তবে সবকিছু সচল রাখতে কোথাও কড়া হওয়াটাও প্রয়োজন। আর তাই বাইকের দাপাদাপি সামলাতে একেবারে হাত খুলে ট্র্যাফিক মামলা দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ট্র্যাফিক মামলার শিকার হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৮৯ জন।
একেবারে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত একেবারে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর এই পাঁচদিনে এত মামলা হয়েছে বলে খবর। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে সবথেকে বেশি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ট্র্যাফিক তাণ্ডব দেখিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
যত্রতত্র গাড়ি-বাইক পার্কিংয়ে সবথেকে মামলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচদিনে ১১ হাজার ৪৯৮টি পার্কিংয়ের নিয়ম ভাঙার মামলা হয়েছে। এছাড়াও হেলমেট না পড়ে বাইক চালানো সহ একাধিক ক্ষেত্রেও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। প্রত্যেক বছর পুজোর সময় রাত হলেই বাইক তাণ্ডব সবথেকে বেশি থাকে।
হেলমেট ছাড়া দিন রাত ধরে চলে রাস্তায় বাইকের দাদাগিরি। শুধু তাই নয়, একটা বাইকে একাধিক সওয়ারি থাকে। আর তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠে। এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে থাকে। এই অবস্থায় এবার প্রথম দিন থেকেই এই বিষয়ে কড়া ছিল কলকাতা পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালানোর জন্যে এবার ৭ হাজারেরও বেশি মামলা করেছে ট্র্যাফিক আধিকারিকরা। এর সঙ্গেই রয়েছে স্পিড লিমিট। প্রত্যেক বড় রাস্তায় এবার স্পিড লিমিট করে দেওয়া হয়েছে। কোথাও ৪০ তো কোথাও ৬০ এর বেশি গাড়ি চালানো যায় না। বেঁধে দেওয়া গতির বাইরে গাড়ি চালালেই মামলা করে পুলিশ।
পুজোর দিনে এই বিষয়ে আরও কড়া ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, স্পিড লিমিট ভাঙার জন্যে পাঁচ দিনে ৫৭৭৫টি মামলা হয়েছে। এছাড়াও ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভাঙায় ২১৮৬টি এবং স্টপলাইনের নির্দেশ না মানার মামলাও হয়েছে ২২৫৩টি। পুজোয় ষষ্ঠী এবং দশমী ছাড়াও পুজোর বাকিদিনগুলিতেও ট্র্যাফিক আইন ভাঙার ক্ষেতরে কড়া মনোভাব নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
অষ্টমী এবং নবমীতে ট্রাফিক মামলা গড়ে সাত হাজারের বেশি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কড়া হাতে পুজোও ট্র্যাফিক এবং অন্যান্য পরিস্থিতি যেভাবে পুলিশ আধিকারিকরা সামলেছেন তাতে অনেকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকদের।
তবে যেভাবে যথেচ্ছ ভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে তাতে অবশ্য একটা ক্ষোভ মানুষের একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে বলেই খবর