গঙ্গার ঘাটে ঘাটে আজও চলছে প্রতিমা বিসর্জন, চলছে স্যানিটাইজেশন
গঙ্গার ঘাটে ঘাটে আজও চলছে প্রতিমা বিসর্জন, চলছে স্যানিটাইজেশন
মন খারাপের শারদোৎসবের একাদশীতেও গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। সেইসঙ্গে স্যানিটেশনের কাজ। এদিনেও সকাল থেকেই গঙ্গার ঘাটগুলিতে কড়াকড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো। একদিকে গঙ্গা দূষণ রোধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, অন্যদিকে করোণা অতিমারি পরিস্থিতিতে বাড়তি সর্তকতা। ফলে দশমীতে কিছু সংখ্যক প্রতিমা ভাসাণের পর আবার একাদশীতেও সকাল থেকে চলছে নিয়ম মেনে ভাসান পর্ব। এবং সেইসঙ্গে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলছে স্যানিটাইজেশন।
কলকাতা পুরসভার নির্দেশ মেনে প্রতিমা বিসর্জনের পর গঙ্গার দূষণে প্রতিরোধে তৎপর পুরকর্মীরা। ভাসানের পর সঙ্গে সঙ্গে নদী থেকে কাঠামো-ফুল এবং অন্যন্য সামগ্রী তুলে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি, করোণা পরিস্থিতিতে বিসর্জনের সময় ঘাটে ঠাকুর নিয়ে আসা ব্যক্তি ছাড়া বেশি কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সর্ব ক্ষণ নজরদারি চালাচ্ছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। স্পিডবোর্ডেও চলছে নজরদারি। প্রতিমা বিসর্জনে নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দশমীতে পুরসভার নির্দেশ মেনে সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে দুপুরে ঘাটগুলি পরিদর্শন করেন পুর ও নগরন্নোয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন।
এদিন একাদশীতেও বাবুঘাট, বাজা কদম তলা ঘাটের মতো গঙ্গার ঘাট গুলোকে বিসর্জন এর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে সেই ঘাটগুলোতে চলছে ভাসান পর্ব। দিনভর চলছে প্রতিমা বিসর্জন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৯ শে অক্টোবর পর্যন্ত বাবুঘাট সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের কাজ চলবে। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার ২৪টি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রতিটি খাটে এক ঘন্টা অন্তর স্যানিটেশন কাজ করা হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষকে কোভিড পরিস্থিতিতে সহযোগিতা করার জন্য কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় দুই হাজারের বেশি প্রতিমা বিসর্জনের কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, এবার করোনা পরিস্থিতিতে মন খারাপের পুজোর সঙ্গে এক মন খারাপের বিসর্জন পর্ব চলছে গোটা রাজ্য জুড়ে। হাইকোর্টের নির্দেশে এবার সিঁদুরখেলা নেই মণ্ডপে। নেই শোভাযাত্রা করে প্রতিমা নিয়ে বেরোনো। বন্ধ ডিজে এবং মাইক। এই আবহেই সিঁদুরখেলা বা শোভাযাত্রা কোনটাই হল না। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সরাসরি চলে গেল ঘাটে। মায়ের সামনে বাজল না ব্যান্ডপার্টি। প্রদীপ হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়াল না ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। করোনা পরিস্থিতিতে সব রকমের শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। এবার প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে নির্ধারিত দিন ও সময় মেনেই, নির্দেশ পুলিশের।
কলকাতা থেকে জেলা - বাংলার দুর্গাপুজোর নানা মুহূর্তের ছবি দেখুন একনজরে