বরফের দুর্গা দেখতে উপচে পড়া ভিড় রাজারহাট বিনোদন পার্কে
বরফের দেশে মায়ের বাড়ি। হিমশীতল কৈলাস থেকে মা আসছেন কি না গরমের দেশে, বাপের বাড়িতে। কলকাতা বলুন বা রাঢ় বাংলা। বর্ষাসুরের করুণায় মাঝেমধ্যে বৃষ্টি নামলেও, শরতের হিমের পরশ থাকলেও, ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। তবু বরফের দেশ থেকে ভ্যাপসা গরমের দেশে এসে এই ক'টা দিন যে কী অবস্থা হবে মায়ের! তাই গরমের দেশে তিনি আসছেন একেবারে বরফ সাজে সজ্জিত হয়ে। রাজারহাট বিনোদন পার্কে মা দুর্গা তাই বরফ কন্যা!
বরফে ঢাকা কৈলাস থেকে সরাসরি কলকাতায় পদার্পণ। তাই ভাবনা-চিন্তা করে সুবন্দোবস্ত তো করতেই হবে। শুধু তিনি নিজেই নন, ছেলে-মেয়ে, এমনকী বাহন সিংহ ও মহিষাসুরকেও বরফে সাজিয়ে মর্ত্যে হাজির উমা। এই চমক অপেক্ষা করছে দর্শনার্থীদের জন্য। সপরিবারে বরফসাজে সজ্জিত উমাকে দেখতে শুধু আপনাকে পরে নিতে হবে বিশেষ জ্যাকেট! রাজারহাটের উপকণ্ঠে অ্যাক্সিস মলের উপরে বিনোদন পার্ক। সেখানেই পুজিত হবেন বরফের তৈরি দেবী উমা।
বরফের দেশ। সেখানে মাতৃমূর্তি বরফের হওয়াই বাঞ্ছনীয়। শহরজুড়ে থিমের ছড়াছড়ি তো আছেই। আছে ভিড়ও। তবু বরফের দেশের আকর্ষণে শহরের উপকণ্ঠে রাজারহাটে পাড়ি দিচ্ছে দর্শনার্থীরা। গরম থেকে বাঁচতে গন্তব্য স্নো-পার্ক। সেখানে রথ দেখা আর কলা বেচা একসঙ্গেই সারা হচ্ছে। এই বিনোদন পার্কে গেলে আপনি যেমন পাবেন শুধুই বরফ, তেমনই পুজোর মেজাজও থাকছে। পার্কের মধ্যেই সাড়ম্বরে পুজিতা বরফের তৈরি দেবী দুর্গা। গত রবিবার থেকেই পার্কে আসা সমস্ত মানুষের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে এই দুর্গা মূর্তি।
ঢাকের
বাদ্যি,
হারিয়ে
যাওয়া
পুজোর
গান-
সবই
আছে।
ষষ্ঠী
থেকে
শুরু
হয়ে
যাবে
বরফ-দুর্গার
পুজো।
শহরকে
হারিয়ে
দর্শনার্থীদের
কাছে
মূল
আকর্ষণ
হয়ে
উঠেছে
এই
বরফের
দুর্গা।
সম্পূর্ণটাই
বিদেশ
থেকে
তৈরি
করে
আনা
হয়েছে।
উদ্যোক্তাদের
দাবি,
এমন
দুর্গা
কলকাতার
পুজোর
ইতিহাসে
এই
প্রথম।
বরফ
দুর্গার
দর্শনে
মুগ্ধ
হয়ে
যাবেন
দর্শনার্থীরা।
থাকছে
লেজার
আলোর
কারসাজিও।
উত্তর-দক্ষিণ
যতই
সাবেকিয়ানা
আর
থিমের
লড়াই
মাতুক,
তাল
মিলিয়ে
একেবারে
নতুনত্বের
এই
চমক
এবার
মন
কাড়বেই।