প্রতিমার পাশে পার্বতীর দুই সহচরীর মূর্তি, এখনও আকর্ষণীয় ছাতুবাবু-লাটুবাবুর বাড়ির পুজো
বাংলার প্রথম কোটিপতি ব্যবসায়ী রামদুলাল দে বিডন স্ট্রিটে এই পুজোর শুরু করেন ১৭৭০ সালে। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলে আশুতোষ দে এবং প্রমথনাথ দে পরিবারের ঐতিহ্য বহন করেন।
উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোর কথা উঠলেই বিডন স্ট্রিটের ছাতুবাবু-লাটুবাবুর বাড়ির পুজোর কথা চলে আসেই। ১৭৭০ সালে এই বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন রামদুলাল দে( দেব সরকার)। তৎকালীন কলকাতার অন্য়তম ঐশ্বর্যশালী ছিল রামদুলাল দের পরিবার। বাড়ির নাম রামদুলাল নিবাস। কেউ কেউ বলেন রামদুলাল দেই বাংলার প্রথম কোটিপতি ব্যবসায়ী। দিন মজুরের পরিবার থেকে নিজের যোগ্যতায় অর্থ উপার্জনের সঙ্গে প্রভূত সম্মানও অর্জন করেছিলেন তিনি।
সেই সময় আমেরিকানদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন এবং তাদের কাছের লোক হয়ে ওঠেন। জানা যায়, তৎকালীন হিন্দু কলেজ (বর্তমানের প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) তৈরিতে সব থেকে বেশি আর্থিক অনুদান দিয়েছিলেন এই রামদুলাল দেই। দাদু রামসুন্দর বিশ্বাসের সঙ্গে দমদম থেকে কলকাতায় এসে বিদেশি সংস্থায় মজুরের কাজ নিয়েছিলেন রামদুলাল। সেখান থেকে অ্যাকাউন্টিং ক্লার্ক। কাজে খুশি হয়ে মালিক মদনমোহন দত্ত তাঁকে ব্যবসায় সাহায্য করেন।
[আরও পড়ুন:দেশবন্ধু ও নেতাজির স্মৃতি বিজরিত ওয়েলিংটন স্কোয়ারের চন্দ্র পরিবারের পুজো]
রামদুলাল দের মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলে আশুতোষ দে (দেব সরকার) এবং প্রমথনাথ দে (দেব সরকার) পরিবারের ঐতিহ্য বহন করেন। তাঁরাই ছাতুবাবু এবং লাটুবাবু নামে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের নামেই এই বাড়ির পুজো বিখ্যাত হয়ে ওঠে। বাবার মতোই দুই ছেলের বৈভব ছিল নজরকাড়া।
পুজোয় আগে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো দেখতে মানুষ ভিড় করতেন। তবে এখনও বহু মানুষ পুজোর দিনগুলিতে যান এই বাড়িতে। প্রতিমার পাশে পার্বতীর দুই সহচরী জয়া-বিজয়ার মূর্তি থাকে। সিংহের জায়গায় থাকে ঘোড়া। প্রতিমার বীণা কিংবা কোনও পাত্র থাকে না। প্রতিমার হাত খালি থাকে।