রাত পেরোলেই রেড রোডে মেগা কার্নিভাল, প্রস্তুতি জোরকদমে
১১ অক্টোবরের জন্য রেড রোড সেজেছে হরেক রকমের রং বাহারে। হাজার আলোয় রাতের রেড রোড যেন মায়াবী হয়ে উঠবে।
রাত পেরোলেই রেড রোডে মেগা কার্নিভালের দামামা বাজবে। গত তিন দিন ধরে তাই ১১ অক্টোবরের জন্য রেড রোড সেজেছে হরেক রকমের রং বাহারে। হাজার আলোয় রাতের রেড রোড যেন মায়াবী হয়ে উঠবে। গত তিনদিন ধরে চলছে তারই প্রস্তুতি। এবছরের কার্নিভালের রেড রোড সাজছে 'রাঙা মাটির বাংলা'য়।
বাংলার প্রাচীন পোড়ামাটির শিল্প বা টেরাকোটার কাজে এ বার রেড রোডে সাজানো হবে। যার যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে রাঙামাটির বাংলা। এ জন্য বাঁকুড়া ও বীরভূমের টেরাকোটা শিল্পীদের আনা হয়েছে। তিনদিন ধরে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল দেখা আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই গোটা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরাও। রাজ্যের ডিজি সহ পুলিশের শীর্ষ কর্তারা সেখানের নিরাপত্তার বিষয় টিও খতিয়ে দেখছেন।
মূল মঞ্চে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে থাকবেন অন্যান্য অতিথিরা। বিদেশি অতিথিরাও আমন্ত্রিত হয়েছেন। বার ১৫ হাজার আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মধ্যে চার হাজার আসনই ভিভিআইপি ও বিদেশি আমন্ত্রিত পর্যটকদের জন্য থাকবে। সরাসরি সম্প্রচারের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক লাইভ করারও ব্যবস্থা করছেন।
লালবাজার
সূত্রের
খবর,
নিরাপত্তা
বিষয়ে
ও
রাখা
হয়েছে
কড়া
ব্যবস্থা।
নিরাপত্তার
দায়িত্বে
থাকছেন
২
হাজারের
বেশি
পুলিশ
কর্মী।
মূল
মঞ্চে
থাকবেন
মোট
৯০
থেকে
১০০
জন।
মঞ্চের
চারিদিকে
থাকবে
সাদা
পোশাকের
পুলিশ
কর্মী,
থাকবে
কলকাতা
পুলিশের
এসটিএফের
পুলিশ
কর্মীরা।
সকাল
থেকেই
গোটা
রেড
রোডে
কলকাতা
পুলিশের
পুলিশ
কুকুর
দিয়ে
তল্লাশি
করা
হবে।
থাকবে
বম্ব
স্কোয়াডের
পুলিশ
কর্মীরা।
নিরাপত্তার
বিষয়ে
কলকাতা
পুলিশের
ডিসি
(কমব্যাট)
নগেন্দ্র
জানান,
টর্নেডোতে
তিন
জন
মহিলা-সহ
৪৫
জন
অংশ
নেবেন।
যাঁদের
৮০
শতাংশই
কমব্যাট
কম্যান্ডো।
গত
বছরও
এই
দলটি
কলাকৌশল
প্রদর্শন
করেছিল।
মুখ্যমন্ত্রী
তাঁদের
প্রত্যেককে
৫০
হাজার
টাকা
করে
পুরস্কৃত
করেছিলেন।
এবারও
মুখ্যমন্ত্রীর
তরফে
ভালো
কাজের
জন্য
পুরস্কারের
ব্যাবস্থা
রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে রেড রোডে যান চলাচল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নিরাপত্তার কারণে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে রেড রোড। রেড রোডের পরিবর্তে কোন রাস্তা দিয়ে বাস বা গাড়ি যাবে, তার রুট প্ল্যান ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডাফরিন রোড, লার্ভাস রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে। একমুখী করে দেওয়া হতে পারে। তবে এজেসি বোস রোড, নিউ রোড, চৌরঙ্গী রোড,আউটট্রাম রোড দিয়েও, মেয়ো রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ যান চলাচলের জন্য খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টে থেকে কার্নিভাল শুরু হচ্ছে। তাই শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে খিদিরপুর রোড বন্ধ করা হবে। সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুপুর ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে কার্নিভ্যালের গাড়িগুলিকে পলাশী গেট রোডে রেখে নিজেদের ট্যাবলোতে প্রস্তুত হয়ে নেওয়ার জন্য। প্রত্যেক পুজোকে রেড রোডে নিয়ে আসা এবং রেড রোড পার করিয়ে ঘাটে রওনা করিয়ে দেওয়ার জন্য থাকবেন এক জন করে সাব ইনস্পেক্টর।
এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ডেপুটি কমিশনার থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার একাধিক অফিসার। প্রত্যেক পুজো কমিটি সর্বোচ্চ ২-৩ টি ট্যাবলো রাখতে পারবে। এই নিয়ে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকও করেছে পুলিশ। একটি পুজোর সর্বাধিক ৫০ জন সদস্যের বেশি থাকতে অনুমতি দেওয়া হবে না।
[ 'বিগ বস ১৩'-এ অশালীন দৃশ্য ঘিরে বিতর্ক! কেন্দ্রের তরফে সলমনের শো ঘিরে নয়া পদক্ষেপ]