নিরাপত্তার মোড়কে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে শুরু বিসর্জন, ঘাট পরিষ্কারে নিযুক্ত অতিরিক্ত পুরকর্মী
কলকাতা, ১৩ অক্টোবর : বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজো শেষ। এবার নিরঞ্জনের পালা। মঙ্গলবার বাড়ির পুজোর বেশিরভাগ প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বারোয়ারি পুজোর বিসর্জন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার শহরের বড় পুজোগুলির বিসর্জন হবে। বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে গঙ্গার ঘাটগুলি কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ঘাট পরিষ্কারে নিয়োগ করা হয়েছে অতিরিক্ত পুরকর্মী।
কলকাতার বাবুঘাট, নিমতলা ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট ও বাগবাজার ঘাটে সবথেকে বেশি নিরঞ্জন হয়। মোট ২২টি ঘাটে বিসর্জন হচ্ছে। নির্বিঘ্নে বিসর্জন সারতে ঘাটগুলিতে তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। ১৬টি ঘাটে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটে থাকবেন একজন করে জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার অফিসার, থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশকর্মী।
প্রতিটি ঘাটে নজরদারিতে থাকছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের তরফেও থাকছে বিশেষ দল। বাজে কদমতলা ঘাটে তৈরি হয়েছে পুলিশের কন্ট্রোলরুম।
মঙ্গলবার থেকে বাড়ির পুজোর বিসর্জন শুরু হলেও সেভাবে প্রত্যেকটি ঘাট পরিষ্কারে তৎপরতা চোখে পড়েনি। পুরকর্মীরা কাজ করেছেন বিক্ষিপ্তভাবে। তবে গঙ্গাদূষণের কথা মাথায় রেখে গঙ্গার ঘাট পরিষ্কারের কাজে বৃহস্পতিবার থেকে তত্পর কলকাতা পুরসভা ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিমা বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গেই গঙ্গা থেকে কাঠামো তুলে ফেলার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে অতিরিক্ত পুরকর্মী।
মোট দেড় হাজার পুরকর্মী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাজে নেমে পড়েছেন গঙ্গার ঘাটে ঘাটে। কলকাতা বন্দরের কর্মীরাও তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন। তুলে ফেলা হচ্ছে ফুল ও পুজোর আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গঙ্গাকে জঞ্জালমুক্ত ও দূষণমুক্ত করার কাজ তদারকি করেন।