সংগঠনের দুই প্রধানকে হারিয়েও আরও শক্ত দুর্বারের ভিত, আরও সুন্দর পুজো উপহার দেওয়ার বার্তা পুতুল-ভারতীদের
Array
শহরের যৌনপল্লীর দুর্গাপুজোয় ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। আজ হয়ে গেল খুঁটি পুজো। দুর্বার সংগঠন এই বছর ২৭ বছরে পড়ল। ১০ বছরে পড়ল তাঁদের দুর্গাপুজো। কিন্তু গত ৯ বছরে তাঁদের পুজোর যিনি অঙ্গ ছিলেন তিনি তাঁরাই এই বছর নেই। আর কোনও দিন তাঁরা থাকবেনও না এই পুজোর অঙ্গ হয়ে থাকতে। তাঁরা যে আচমকাই ইহলোক ছেড়ে চলে গিয়েছেন। একজন দুর্বারের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ স্মরজিত জানা এবং অপরজন হলেন তাঁদের পুজোর সম্পাদক কাজল বোস।
এক বছরে পর পর দুই ধাক্কা। কিছু মাসের মধ্যে প্রথমে করোনা কেড়ে নেয় ডঃ স্মরজিত জানাকে। এরপরেই আচমকা চলে যান কাজল বসু। তাঁদের ছাড়া এই বছরের পুজো কেমন ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে দুর্বার মহিলা সমিতি? এই প্রসঙ্গে দুর্বারের সচিব পুতুল সিং বলেন যে , "আমাদের কাছে এই বছরের পুজোটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা ডঃ স্মরজিত জানা এবং কাজল দি'কে আচমকা হারিয়েছি। ভাবতেই পারিনি যে এভাবে দুজন পরপর আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। যে মানুষটা করোনা নিয়ে দিনের পর দিন খেটে গেল তাঁকেই কেড়ে নিল করোনা। ভাবতে পারছিনা আমরা এখনও। আর কাজল দি'র শরীর অসুস্থ ছিল। তাও বিসয়টা আমরা কোথাও এখনও গিয়ে মানতে পারছি না।"
একইসঙ্গে তিনি বলেন যে, "তবে আমাদের ডঃ স্মরজিত জানা আগে থেকেই আমাদের সব কাজ শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা পুজো করতে করতে তৈরি হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের স্বাবলম্বী করে দিয়েছিলেন ডাক্তারবাবু। ওনার জায়গা কোনওদিন পুরন হবে না। ওনার জন্যই এই সংগঠনকে আজ সারা বিশ্ব চেনে।বহু মেয়েদের জীবনকে অন্যপথে চলার সাহস দিয়েছে ওনার এই কাজ। সংগঠনকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সেটা উনি আমাদের শিখিয়ে দিয়েছিলেন, তাই আমরা অথৈ জলে পড়ব না। ওনার জন্যই আমরা এই বছরের পুজো আরও ভালো করে করতে পারব আর কাজল দি। উনি যে ভাবে এই পুজোটার জন্য খাটতেন অনেক কিছু বললেও কম হয়ে যায়। আমরা ওঁর থেকেও অনেক শিখেছি। খুব কাছ থেকে ওর কাজ আমরা সবাই দেখেছি। এবার আমাদের পালা ওঁদের থেকে শেখা কাজের এবার পরিক্ষান দেওয়া। আমরা নিশ্চিত যে আমরা এবারে আরও ভালো পুজো আমাদের মেয়েদের আমরা উপহার দেব।"।