ভোটের পরেই ভোট, উপনির্বাচন দিন ঘোষণা হতেই তৃণমূল জানিয়ে দিল প্রার্থীর নাম
পঞ্চায়েত ভোট যে রমজানের আগে মিটে যাচ্ছে, তা আপাতত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রমজানের মধ্যেই আরও এক ভোটের দামাম বেজে গেল রাজ্যে।
পঞ্চায়েত ভোট যে রমজানের আগে মিটে যাচ্ছে, তা আপাতত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রমজানের মধ্যেই আরও এক ভোটের দামাম বেজে গেল রাজ্যে। আগামী ২৮ মে রাজ্যে উপনির্বাচন হতে চলেছে। মহেশতলা উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই তৃণমূল কংগ্রেস আসরে নেমে পড়ল। জাতীয় নির্বাচন কমিশন নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিল তৃণমূল।
[আরও পড়ুন:ভোটের পরেই ভোট, উপনির্বাচন দিন ঘোষণা হতেই তৃণমূল জানিয়ে দিল প্রার্থীর নাম]
মহেশতলা কেন্দ্রের বিধায়ক কস্তুরী দাসের প্রয়াণে এই কেন্দ্রে ফের ভোট হতে চলেছে। এই উপনির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা চলছিল। এমনকী মহেশতলার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে নাম উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও এক ভাইপো আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তবে সেইসব জল্পনায় জল ঢেলে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার জানিয়ে দিলেন মহেশতলা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। এবার মহেশতলায় প্রার্থী হচ্ছেন প্রয়াত কস্তুরী দাসের স্বামী দুলাল দাস। তিনি মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যানও। তাঁর আরও একটি পরিচয় কলকাতার মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর তিনি।
এবারও তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রের উপরই ভরসা রাখল এই কেন্দ্রে। সবং, উলুবেড়িয়ার পর মহেশতলাতেও বিধায়কের পরিবারের একজনকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হল। সবংয়ে মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল মানস-জায়া গীতারানি ভুঁইয়াকে। আর উলুবেড়িয়ার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন সুলতান-ঘরণী সাজদা আহমেদ। এবার কস্তুরী দাসের আসনে তৃণমূল প্রার্থী হলেন তাঁর স্বামী দুলাল দাস।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ ফের প্রশ্নের মুখে, বাহিনী-বিতর্কে শুরু সুরক্ষা তরজা]
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে নির্বাচন হবে ২৮ মে। আর ভোট গণনা ৩১ মে। একই সঙ্গে দেশের আরও চারটি লোকসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। এই চারটি লোকসভা এখন বিজেপির পাখির চোখ। কারণ, এই চারটি লোকসভায় হারলে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। যা ২০১৯-এর আগে চাপে রাখবে তাদের। সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলিতে বিজেপি বারেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এবারও যদি সেই ধারা বজায় থাকে, তবে সমূহ বিপদের সামনে বিজেপি। কংগ্রেসও তাই বিজেপিকে ধাক্কা দিতে তৈরি হচ্ছে। বিরোধী শক্তিকে একজোট করে তিনি চাইছেন মোদী-শিবিরে লড়াইটা পৌঁছে দিতে।