কলকাতাতেই অপর 'নীরব মোদী'র খোঁজ! যা ব্যবস্থা নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা
এই মুহূর্তে ডিআরআই-এর হেফাজতে কলকাতা ভিত্তিক শ্রী গণেশ জুয়েলারি হাউসের প্রোমোটর নীলেশ পারেখ। প্রতারণা করে ১৭০০ কেজি সোনা বিক্রির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে ডিআরআই-এর হেফাজতে কলকাতা ভিত্তিক শ্রী গণেশ জুয়েলারি হাউসের প্রোমোটর নীলেশ পারেখ। প্রতারণা করে ১৭০০ কেজি সোনা বিক্রির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতবছরেই এসবিআই-এর নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামকে ২,৬৭২ কোটি টাকা ঋণ না মেটানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
কলকাতাতেই এক নীরব মোদীর খোঁজ। প্রতারণার দায়ে তাঁকে ইতিমধ্যেই নিজেদেক হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। ডিআরআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা ভিত্তিক শ্রী গণেশ জুয়েলারি হাউজের প্রোমোটার নীলেশ পারেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁর আটদিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ভারত সরকারের সঙ্গে হওয়া চুক্তির খেলাপ করে নীলেশ পারেখ প্রায় ১৭০০ কেজি সোনা ঘুর পথে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডিআরআই-এর অভিযোগ।
তদন্তকারী সংস্থার কাছে খবর, এই সংস্থা মনিকাঞ্চন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অভিযুক্ত সংস্থার একাধিক শাখা রয়েছে। এই একাধিক শাখার মাধ্যমে আমদানি করা সোনা ঘুরপথে বিক্রি করা হয়েছে।
মনিকাঞ্চন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট কমিশনারের লেটার অফ অ্যাপ্রুভালের মাধ্যমে সব মিলিয়ে কর মুক্ত ৩৫,৭৪৬ কেজি সোনা আমদানি করা হয়। এর মধ্যে ৩৪,০৪১ কেজি সোনা রপ্তানিও করা হয়। কিন্তু হিসেবের বাইরে থেকে যায় ১,৭০৫ কেজি সোনা। যা ঘুর পথে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ডায়রেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স।
তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে করা তদন্তে দেখা গিয়েছে, শ্রী গণেশ জুয়েলারি হাউস লিমিটেড সব মিলিয়ে ৭,৪৫০ কোটি টাকার গয়না সিঙ্গাপুর, হংকং এবং দুবাইয়ের ভুয়ো এবং শেল কোম্পানিতে রপ্তানি করেছে। এই মামলার আলাদা করে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই-ও।
সিবিআই-এর তরফে এসবিআই-এর নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামকে ২,৬৭২ কোটি টাকা ঋণ না মেটানোর অভিযোগে তদন্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইডির তরফে ফেমা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।