মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা সহ ৬ দফা দাবি এনআরএসের ডাক্তারদের, পিছু হঠবেন না তাঁরা
পিছু হঠার প্রশ্নই নেই। বরং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনআরএসে এসে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছেন ডাক্তাররা। মোট ছয় দফা দাবি পেশ করেছেন তাঁরা।
পিছু হঠার প্রশ্নই নেই। বরং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনআরএসে এসে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছেন ডাক্তাররা। মোট ছয় দফা দাবি পেশ করেছেন তাঁরা। সেগুলি পূরণ না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ডাক্তাররা।
এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তার এবং চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ তোলা রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ এখন রাজনৈতিক রঙে রঙিন। শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চলা ডাক্তারদের কর্মবিরতি জেরে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে গিয়ে আন্দোলনকারীদের রীতিমতো শাসান। আর তাতেই পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আচরণের পর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ান তাঁদের সিনিয়র এবং নার্সরা। ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন রাজ্যের শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী এবং আইনজীবীরা। শুক্রবার নৈহাটির এক সভায় তাঁদের প্রত্যেককে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক্তারদের আরো একবার আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বলেন এবং কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন।
এর উত্তরে আন্দোলনরত ডাক্তাররাও জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা পিছু হঠবেন না। উল্টে দাবি তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনআরএস আসতে হবে এবং সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে। একই সঙ্গে রোগী আত্মীয় এবং বহিরাগতদের হাতে প্রহৃত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখার্জির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, ডাক্তারদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নিষ্ঠার সঙ্গে কর্তব্য পালনে ব্যর্থ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং সর্বোপরি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। দাবিগুলি পূরণ না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ডাক্তাররা।