দূষণ রাজ্যে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে করোনা মৃত্যুর হার, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি চিকিৎসকদের
দূষণ রাজ্যে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে করোনা মৃত্যুর হার, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি চিকিৎসকদের
পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নিতেই শুরু হয়েছে দূষণের দাপাদাপি। সেই সঙ্গে আবারও রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যা যথেষ্ট মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসক সমাজের কাছে। এই অবস্থায় যদি দীপাবলীতে বাজির রমরমা চলে তাহলে কোভিডে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল ডক্টরস ফোরাম।
এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করা আবেদনে তাঁরা জানিয়েছেন যাতে এবারের মতো বাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায়। নাহলে শ্বাসজনিত সমস্যায় অনেকেরই মৃত্যু ঘটতে পারে অনেক বেশি।
এছাড়াও তাঁদের বক্তব্য, করোনার প্রভাবে দেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এর প্রভাবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফুসফুস। এখন দেখা যাচ্ছে কোভিড থেকে অনেকেই খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন কিন্তু তারপরে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কেউ সামান্য চলাফেরা করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন, কারও বা হাঁফানির সমস্যা চলে আসছে, কারও বা শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে। এদের ক্ষেত্রে বাজির ধোঁয়া কার্যত মরণবায়ু হয়ে দাঁড়াবে। তাই এই বছর রাজ্য সরকার বাজির বিক্রি ও তা পোড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করুক এমনটাই আর্জি জানিয়েছে ফোরাম। যদি তা না মানা হয় সেক্ষেত্রে বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে বলে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।
এপ্রসঙ্গে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বক্তব্য, পিএম ২.৫'র মান ২০০ ছাড়ানো খুবই উদ্বেগের। লকডাউনের পর এই প্রথম কলকাতা ও আশেপাশের এলাকার দূষণ এমন মাত্রায় পৌঁছল। এরওপর যদি দীপাবলীতে বাজি পোড়ে তাহলে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে যা গত কয়েক দশক ধরেই দেখা যাচ্ছে।
ওই সময় বাতাসে বাজির প্রভাবে ধুলো আর বালি ছাড়াও তার সঙ্গে উড়তে শুরু করে সিলিকন ও নানা ক্ষতিকারক গ্যাস। এর ফলে ফি বছর দীপাবলীর সময়ে শ্বাসজনিত সমস্যায় যারা ভোগেন তাঁদের সমস্যা আরও বেশি বেড়ে যায়।
বিজেপি নেতার মুক্তির দাবিতে বাগনানে পথ অবরোধ