ই-মেলে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন! কেন এই প্রক্রিয়া, যা যুক্তি দিল হাইকোর্ট
ই-মনোনয়ন নিয়ে হাইকোর্টে বড় জয় সিপিএম-এর। ২৩ এপ্রিলের বেলা ৩ টে পর্যন্ত যে সব ই-মনোনয়ন সিপিএম-এর তরফে দাখিল হয়েছে, তা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ।
ই-মনোনয়ন নিয়ে হাইকোর্টে বড় জয় সিপিএম-এর। ২৩ এপ্রিলের বেলা ৩ টে পর্যন্ত যে সব ই-মনোনয়ন সিপিএম-এর তরফে দাখিল হয়েছে, তা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ। ই-মেলে মনোনয়ন দাখিল করা হলে, কমবে মৃত্যুর হার, পর্যবেক্ষণ আদালতের। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের নাম প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ই-মনোনয়ন নিয়ে অনীহা রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। এমনটাই বলে আদালত। পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, কোনও রাজনৈতিক দল বলতে পারে না, কোন মনোনয়ন নেওয়া যাবে আর কোনটি নেওয়া যাবে না। ই-মনোনয়নই একটা পথ যেখানে গণ্ডগোল, মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যেতে পারে। প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়লে জনগণের সামনে প্রার্থীদের নিয়ে অপশনও বাড়বে।
সোমবার ই-মনোনয়ন বিষয়ে উত্তর নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এবিষয়ে আদালতের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার আদালতকে নির্বাচন কমিশনের তরফে সিপিএম-এর দেওয়া কাগজপত্রের কথা বলা হয়। এই সময় ক্ষিপ্ত বিচারপতি সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, আপনাদের ঘুম এখনও ভাঙেনি।
হোয়াটসঅ্যাপে ভাঙড়ের নয় প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে এই ই-মনোনয়ন গ্রহণের দিকটি খুলে গিয়েছিল। এই দিকটিকে সামনে রেখেই হাইকোর্টে আবেদন করে সিপিএম। এই রায়কে যুগান্তকারী বলেই মনে করছেন রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশ।