মুকুল-রাহুল সম্পর্কে নয়া মোড়, ধর্মতলায় মঞ্চ থেকে কী বার্তা দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি
এতদিন মুকুল-সমীপে না এলেও, ধর্মতলায় বিজেপিতে মুকুলের আত্মপ্রকাশের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে এক লহমায় সব জল্পনা ওড়ালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।
মুকুল রায় দলে যোগ দেওয়ার পরই রাহুল সিনহাকে নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল। এমনকী তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলেও চর্চা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি তিনি তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবার ধর্মতলায় বিজেপিতে মুকুলের আত্মপ্রকাশের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে এক লহমায় সেই সব জল্পনা ওড়ালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।
[আরও পড়ুন:'চাটনিবাবু'র ভোল বদলে অবাক পার্থ! নয়া নামের ভূষণে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন 'বন্ধু'কে]
তাঁর উপস্থিতিই সব কথার উত্তর দিয়ে দিল এদিন। সভামঞ্চে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতেই তৃণমূলকে বাংলা ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দিলেন রাহুল সিনহা। এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়েই তিনি ঘোষণা করেন, 'আমি আগে মুকুল রায়কে নিয়ে আপত্তি করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু এখন কোনও আপত্তি নেই। আমি তা জানিয়ে দিয়েছিলাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। কিছু সংবাদমাধ্যম অপপ্রচার চালিয়ে গিয়েছে মুকুল রায় ও আমার সম্পর্কে।'
তাঁর তৃণমূল যোগ প্রসঙ্গে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে তিনি বলেন, 'আমার এত অধঃপতন এখনও হয়নি যে, আমাকে চোর-জেলখাটা এক নেতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমার সঙ্গে ওই নেতার বৈঠক হয়নি। আমি এই সংবাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছি। মুকুলদা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় হতাশ হয়ে তৃণমূল ওসব রটনা করে বেড়াচ্ছে।'
উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দিয়ে কলকাতায় ফেরার দিন থেকেই রাহুল সিনহার কোনও দেখা মেলেনি। একবারও তিনি মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হননি। তা থেকেই জল্পনার সূত্রপাত হয়েছিল। ২০১৫ সালে তিনি যে মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে আপত্তি তুলেছিলেন, সেই আপত্তির বিষয়টিই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল ফলে। তা থেকেই তাঁর তৃণমূলে যোগদানের বিষয়ে চর্চা শুরু হয়।
[আরও পড়ুন:বাংলাকে সমাদৃত করতেই তাঁর বিদেশ যাত্রা! মুকুলের সমালোচনার কড়া জবাব মমতার ]
তারপর রাহুল সিনহা বিজেপির বর্তমান ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বলেই পরিচিত রাজনৈতিক মহলে। তার ফলে মুকুল রায় দলে এলে তিনি আরও পিছিয়ে পড়বেন বলে জল্পনা চলছিল। তা থেকেই রাহুল সিনহা মুকুল রায়কে এড়িয়ে চলছেন এমন সম্ভাবনা উঁকি দেয়। তবে এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুকুল রায়কে জড়িয়ে ধরতেই নিমেষে সেই সব জল্পনা হাওয়া। অন্তত এদিনের মঞ্চ একতার সুর বেঁধে দিল বিজেপিতে। তা কতদিন স্থায়ী হয় সেটাই বর্তমানে লাখ টাকার প্রশ্ন।