মস্ত চাল দিলীপের! প্রার্থী না থাকলেও তৃণমূলকে ওয়াকওভার দেবে না বিজেপি, তৈরি রণকৌশল
বিজেপি এবার নয়া কৌশল নিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে বিনাযুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনীও ছাড়বে না বিজেপি। দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁদের দলীয় প্রার্থী না থাকলে কী করতে হবে কর্মীদের।
বিজেপি এবার নয়া কৌশল নিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে বিনাযুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনীও ছাড়বে না বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁদের দলীয় প্রার্থী না থাকলে কী করতে হবে কর্মীদের। এই নতুন চালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে ভোট-সুরক্ষায় প্ল্যান-বি প্রয়োগ, মমতার মাস্টারস্ট্রোকে মাত বিরোধীরা ]
সেইসঙ্গে তিনি কৌশল নিলেন, যাতে সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে। আসলে তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন- তাঁর লক্ষ্য ২০১৯। পঞ্চায়েতে সবক শিখিয়ে তৃণমূলকে ২০১৯-এ মুতোর জবাব দিতে চায় বিজেপি। এই পঞ্চায়েতে সেই ক্ষেত্র তৈরি করে রাখতে চান তাঁরা।
দিলীপ ঘোষ এক প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানিয়েছেন, যে সব কেন্দ্রে দলের প্রার্থী নেই, সেখানে নির্দল প্রার্থীকে সরাসরি সমর্থন করতে বলছেন তিনি। তাহলে নির্দল প্রার্থীর পাল্লা ভারী হবে। যত সংখ্যক নির্দল প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা যাবে, সেটাই ভবিষ্যেতর লাভ বলে মনে করছেন তিনি। এতে দল ভারী হতে পারে বলেও দিলীপের মত।
তিনি চাইছেন না, তৃণমূল ফাঁকা জমি পেয়ে যাক। ফাঁকা জমি দেওয়ার থেকে যদি ঘুরিয়ে একটা লড়াই দেওয়া যায়, সেটা বিজেপির ভবিষ্যতের পক্ষে ভালো হবে। তাঁর যুক্তি, ভোটের পর ওই প্রার্থী জিতুন হারুন, তাঁর কাছে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। আর তৃণমূলকেও বুঝিয়ে দেওয়া গেল , জোর করে মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু বিজেপি এখন থেকে তৃণমূলের ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস নেবে।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ ফের প্রশ্নের মুখে, বাহিনী-বিতর্কে শুরু সুরক্ষা তরজা]