উনি চোখ দিয়ে দেখেন! একের পর এক ঘটনায় রাজ্যপালের পাশে দিলীপ ঘোষ
কলকাতায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিস্ফোরক মন্তব্যের পাশে দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার রাজ্যপালের অভিযোগ ছিল তাঁকে কার্নিভালে অপমান করা হয়েছে।
কলকাতায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিস্ফোরক মন্তব্যের পাশে দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার রাজ্যপালের অভিযোগ ছিল তাঁকে কার্নিভালে অপমান করা হয়েছে। রাজ্যপালের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে অপমানজনক। সেই বক্তব্যই রাজ্যপাল তুলে ধরতে চেয়েছেন।
রাজ্যপালের পাশে দিলীপ ঘোষ
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ওনাকে (রাজ্যপাল) আলাদা জায়গায় বসানো হয়েছিল, যাতে তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকেন। দিলীপ ঘোষের মন্তব্য উনি সত্যি কথা বলেন বলেই হয়তো সরকারের কাছে উনি অস্বস্তিকর।
'উনি চোখ দিয়ে দেখেন'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি (রাজ্যপাল) চোখ দিয়ে দেখেন।, কান দিয়ে দেখেন না।
রাজ্যপালের অভিযোগ
মঙ্গলবার ন্যাশনাল লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, দুর্গা পুজোর কার্নিভালে তিনি ৪ ঘন্টা বলেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছিল। কোথাও তাঁকে দেখানো হয়নি। তাঁর নাম উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি। এমনটাই অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কার্নিভালে তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তিনি মর্মাহত বলেও জানিয়েছেন। বিষয়টিকে পশ্চিমবঙ্গের অপমান বলে বর্ণনা করেছিলেনন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন, তিনি রাজ্যের মানুষকে জানাতে চান সেদিন তাঁর সঙ্গে ঠিক কী ব্যবহার করা হয়েছিল।
যাদবপুর নিয়ে রাজ্যপালের পাশে
তবে কার্নিভালই শুধু নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহ করার ঘটনা নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে এসে পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বারণ সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধারে যাদবপুর পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই ঘটনাতেও রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ।
জিয়াগঞ্জ নিয়েও রাজ্যপালের পাশে
দশমীর সকালে জিয়াগঞ্জে নিজের বাড়িতেই খুন হয়ে গিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী এবং শিশু পুত্র। সেই ঘটনা সম্পর্কে রাজ্যপাল বলেছিলেন এটি একটি উদ্বেগজনক ঘটনা এবং বর্তমান রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির একটি প্রতিফলন। রাজ্য সরকারের কাছে এই খুনের রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। এব্যাপারে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ।