দিলীপ-রাহুলের শত্রু মুকুল! কলহ তুঙ্গে বিজেপির অন্দরেই, ঝড় সোশাল মিডিয়ায়
বিজেপি অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে চলে এল সোশাল মিডিয়ায়। পুরুলিয়ায় অমিত শাহের সভা নিয়ে মুকুল অনুগামীরা চাঁছাছোলা আক্রমণ করলেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাকে।
বিজেপি অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে চলে এল সোশাল মিডিয়ায়। পুরুলিয়ায় অমিত শাহের সভা নিয়ে মুকুল অনুগামীরা চাঁছাছোলা আক্রমণ করলেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাকে। সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে বিজেপি কর্মীরাই দাবি করলেন, পুরুলিয়ার বুকে সফল জনসভার পূর্ণ কৃতিত্ব মুকুল রায়ের।
তাঁদের অভিযোগ, মুকুল রায়কে সরিয়ে প্রচার নিতে সামনের সারিতে এগিয়ে এসেছেন দিলীপ ঘোষ রাহুল সিনহারাই। মুকুল রায় অনুগামীরা তা দেখে প্রশ্ন তোলেন- মুকুল রায় উপর মোদী-শাহদের অগাধ আস্থা দেখে বোধহয় মেনে নিতে পারছেন না দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহারা। যাঁরা পাঁচটা পরিবারকে এক রাখতে পারে না, তাঁরা আবার রাজ্য দখলের স্বপ্ন দেখে! এমন কথাও লেখা হয় এই সোশাল মিডিয়া পোস্টে।
উল্লেখ্য, অমিত শাহ পুরুলিয়া যে বাড়িগুলিতে পরিদর্শন গিয়েছিলেন, সেইসব পরিবারের সদস্যরা পরের দিন তৃণমূলে যোগ দেন। দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ির মাহালি পরিবারের মতোই রাজোয়ার পরিবারের সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করিয়ে বিজেপিপে প্রত্যাঘাত করে তৃণমূল। রাহুল সিনহা বলেছিলেন এবার তিন লাখ জন সমাগম হয়েছে, মোদীজি এলে চারগুণ লোক দেব। রাহুল সিনহার এই কথারও কটাক্ষ করেন মুকুল অনুগামী বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের কথায় মুকুল রায় একক দক্ষতায় এতবড় জনসভা করেছেন, তা মেনে নিতে পারছেন না রাহুল সিনহারা। তাঁরাই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলায় ১২ লাখের মাঠ আছে তো?
এদিন এই গ্রুপের সদস্যরা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন। তা না হলে দিলীপ ঘোষের এত খারাপ মন্তব্যের পর কেন কেস হয় না, কেন কিছু না বলেও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ১৭টা কেস হয়। মুকুল অনুগামীরা বলেন, দিলীপ ঘোষদের প্রধান উদ্দেশ্য মুকুল রায়কে আটকানো। সেই কাজটাই সবথেকে গুরুত্ব দিয়ে করেন দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহারা। তাঁরা বলেন রতনে কিন্তু রতন চেনে। তাই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা সঠিক মানুষকেই চিনেছেন। তাঁরা আস্থা রাখছেন সঠিক মানুষটার উপরই।