মুকুলের পর দিলীপ-লকেটের নিরাপত্তাতেও আধাসেনা! মমতার প্রশাসনকে বার্তা কেন্দ্রের
রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর ভরসা না রেখে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মহিলা মোর্চা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
মুকুল রায়কে দলে নেওয়ার আগেই তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়েছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রাজ্যের জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ছাড়ার পরই তাঁকে ঘটা করে এক্স ও ওয়াই ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিয়েছিলেন রাজনাথ সিংয়ের মন্ত্রক। এবার রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর ভরসা না রেখে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মহিলা মোর্চা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র এ ব্যাপারে নবান্নের সঙ্গেও কথা বলেছে। দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা রক্ষী বাড়ানোর জন্যই এই কথা বলে জানা গিয়েছে।
মুকুল রায়ের পর দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়েরও নিরাপত্তা রাজ্যে বিঘ্নিত বলে মনে করছে বিজেপি। বিজেপির আবেদন মেনেই দিলীপ-লকেটের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আর সেইসঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায় যে কোনও মুহূর্তে রাজ্যে হামলার মুখে পড়তে পারেন। উপনির্বাচন পর্ব শেষ হলেই পঞ্চায়েতের দামামা বেজে যাবে। ফলে প্রচার পর্বে তাঁরা পড়তে পারেন তৃণমূলের বাধার মুখে। ফলে তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মুকুল রায় তৃণমূল থেকে পাকাপাকিভাবে ইস্তফা দেওয়ার পরই তাঁর নিরাপত্তা মঞ্জুর হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। রাজ্যে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা, আর দিল্লিতে এক্স ক্যাটাগরির নিরাপত্তা বরাদ্দ হয় মুকুল রায়ের জন্য। এরপর কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নজর দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায়।
কয়েক মাস আগে পাহাড় সফরে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তারপর হুগলিতেও একটি সভায় গিয়ে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। লকেট চট্টোপাধ্যায়ও একাধিকবার বীরভূমে গিয়ে শাসকদলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। সেই কারণেই বিজেপি ঝুঁকি নিতে চাইছে না। পঞ্চায়েতের আগেই দুই নেতা-নেত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে।