অমিতে ‘সৌজন্য’ পার্থর! তৃণমূলের ধিক্কারে দিলীপের সংঘাত-বার্তা, যুদ্ধং দেহি মেজাজ বঙ্গে
অমিত শাহের সভার দিনই রাজ্যজুড়ে অসমের এনআরসির প্রতিবাদে ধিক্কার দিবসের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সৌজন্য দেখিয়ে কলকাতায় তৃণমূল কর্মসূচি পালন করবে না।
অমিত শাহের সভার দিনই রাজ্যজুড়ে অসমের এনআরসির প্রতিবাদে ধিক্কার দিবসের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সৌজন্য দেখিয়ে কলকাতায় তৃণমূল কর্মসূচি পালন করবে না বলেও ঘোষণা করেছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর এই সৌজন্য নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের ঝড়। এই সৌজন্যের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন কলকাতায় যেহেতু অমিত শাহের সভা আছে, সেহেতু কলকাতার ধিক্কার দিবস পালন করা হবে ১২ আগস্ট। এই পিছনোর কারণ হিসবে পার্থবাবু ব্যাখ্যা করেন, এটাই সৌজন্য। সৌজন্যতাকে কেউ অন্যরকমভাবে ব্যাখ্যা করবেন না।
তবে অন্য কেউ তৃণমূলের সৌজন্যতাকে হেয় করেননি, পার্থবাবুর সৌজন্যের বার্তাকে কটাক্ষ করেছেন স্বয়ং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, এটা যদি সৌজন্য হয়, সেটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আর এটা যদি সৌজন্য হয়, দরকার নেই আপনাদের সৌজন্যের।
[আরও পড়ুন : এনআরসি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুক কংগ্রেস, রাজস্থানে সুর চড়ালেন অমিত শাহ]
দিলীপ ঘোষ বলেন, শনিবারের সভায় বাংলায় পরিবর্তনের সূচনা হবে। সেটা বুঝতে পারছে তৃণমূল। তাই গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের আটকাতে পারবে না জেনে, পেশি শক্তি প্রয়োগ করে আমাদের আটকানোর চেষ্টা করছে। আসলে ধিক্কার দিবসের নামে আমাদের সভায় আসা সদস্য-সমর্থকদের আটকাতে চাইছে তৃণমূল। তবে আমরা তৈরি। এরপর অশান্তি হলে তার দায় নিতে হবে পার্থবাবুদেরই। কর্মীদের আটকালে সংঘর্ষ হবে।
পার্থবাবু নির্দেশ দিয়েছেন, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা জেলায় জেলায় কালো পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করবেন। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের ইস্যু থেকে তাঁরা কিছুতেই পিছু হটবেন না। অসম ইস্যু শেষ দেখে ছাড়বে তৃণমূল। দলের সাংসদ-বিধায়কদের নেতৃত্বে আন্দোলন হবে। নাগরিকপঞ্জি তৈরি করে অমানবিকভাবে দেশের মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া তাঁরা মানবেন না।
[আরও পড়ুন : দিলীপ-মুকুলদের এনআরসি-প্রচারের নির্দেশ মোদী-অমিতের, বাংলায় 'সাবধানী' বিজেপি]
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, একটা দল রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। অন্য একটা দলের সভা হবে বলে কি, পোস্টার খুলে নিতে হবে। বিজেপির এ রাজ্যে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। তাই বাইরে থেকে ভাড়া করা প্লেয়ার নিয়ে এসে সভা করছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী সব দলকে এক ছাতার তলায় আনারা চেষ্টা করছেন। কোনওভাবেই তাতে ফাটল ধরানো যাবে না। নির্বাচন এলে দেখবেন সবাই এক হয়ে গিয়েছে। এভাবেই জোট তৈরি হয়। একদিনে জোট গড়ে ওঠে না।