'অবিলম্বে পদত্যাগ করুন মমতা, রাজ্যে জারি হোক রাষ্ট্রপতি শাসন', দাবি রাজ্য বিজেপির
রাজ্যপালকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে যা বিবৃতি দিয়েছেন, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করার ভাবনা নিয়েও কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি
সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, রাজ্যপালকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে যা বিবৃতি দিয়েছেন, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করার ভাবনা নিয়েও কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। এ প্রসঙ্গে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
দিলীপবাবুর যুক্তি, রাজ্যপালের কথায় মুখ্যমন্ত্রী যদি অপমানিত বোধ করে থাকেন, তবে তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিকে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু কখনই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলা উচিত হয়নি। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে তিনি গর্হিত অপরাধ করেছেন। তার থেকে বড় কথা তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে অপমান করেছেন।
দিলীপবাবু বলেন, 'তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের কী কথা হয়েছিল, তা একান্ত গোপন থাকাই উচিত ছিল। তা না করে তিনি রাস্তায় নামিয়ে আনলেন প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক প্রধানের কথাকে। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করেননি। মুখ্যমন্ত্রীই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ধমকের সুরে কথা বলেছেন, তাঁকে অপমান করেছেন।'
মুখ্যমন্ত্রীকে
এদিন দাবি তোলেন, রাজ্যপাল যা করেছেন একেবারে ঠিক করেছেন। তিনি তাঁর কর্তব্য করেছেন মাত্র। বসিরহাটের পরিস্থিতির জন্য দিলীপবাবু সম্পূর্ণ দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর প্রশাসনকে। তাঁর কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করার কথা ভেবেছিলেন। যদি পদত্যাগ করতেন, তা বাংলার পক্ষে মঙ্গলজনক হত। এই সরকারের পক্ষে বাংলার উন্নতি করা সম্ভব নয়।'
দিলীপবাবু বলেন, রাজ্যপাল নাকি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন, শাসকদলের লোকেরাই বসিরহাটে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপবাবুর যুক্তি, রাজ্যপালের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে বলেই তিনি একথা বলেছেন। এই ধরনের তথ্য রাজ্যপালের কাছে থাকলে তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো উচিত। তিনি সেই উচিত কর্মটাই করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সেটাকেই ভাবছেন তাঁকে অপমান করা হয়েছে।