ব্রিজের নিচে ‘আশ্রয়’ বাংলাদেশিদের! সেতু বিপর্যয়ে মমতাকে এনআরসি খোঁচা দিলীপের
এবার সেতু বিপর্যয়েও উঠল এনআরসির দাবি। আর এই দাবি তুললেন খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর বিজেপির তরফে এনআরসির দাবি।
এবার সেতু বিপর্যয়েও উঠল এনআরসির দাবি। আর এই দাবি তুললেন খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর বিজেপির তরফে এনআরসির দাবি তুলে তিনি বলেন, কলকাতায় ব্রিজের নিচে থাকেন বাংলাদেশিরা। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এনআরসি প্রসঙ্গে উত্থাপন করলেন দিলীপ ঘোষ।
কলকাতায় সেতু বিপর্যয়ে দেদার রাজনীতি তো হচ্ছেই, সেইসঙ্গে সেতু বিপর্যয় থেকে এনআরসির দাবি তুলতেও সিদ্ধহস্ত হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, কলকাতায় ব্রিজের নিচের বাংলাদেশি তাড়াতেই এনআরসি করা জরুরি। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে ব্রিজের নিচের জায়গা খালি করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের সূত্র ধরেই পাল্টা এনআরসি প্রসঙ্গ তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ। বাংলায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণের জন্য নতুন এক সূত্র পেয়ে গেল বিজেপি। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলকাতা ও শহরতলির ২০টি ব্রিজের স্বাস্থ্যের হাল খুই শোচনীয়।
[আরও পড়ুন:ক্ষতিপূরণ দেবে রেলও, মমতার পর নিহত ঠিকাকর্মীদের পরিবারের পাশে মেট্রো কর্তৃপক্ষ]
শুধু ভেঙে পড়া মাঝেরহাট ব্রিজ নয়, শিয়ালদহ উড়ালপুল, ঢাকুরিয়া ব্রিজ, বিজন সেতু, ব্রেস ব্রিজ-সহ একাধিক ব্রিজকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্য সরকার ব্রিজের নিচে খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ প্রসঙ্গেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ব্রিজের নিচে তো থাকে বাংলাদেশিরা। তাই ব্রিজ নিচে খালি করার আগে এনআরসি করা জরুরি।
অসমে এনআরসিতে ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাম বাদ পড়া নিয়ে চাপানউতোর এখনও চলছে। অসমের এনআরসির পর বাংলাতেও এনআরসির দাবি তোলে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দাবি তোলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও এনআরসি করা হবে। এবার সেতু বিপর্যয়েও এনআরসি খোঁচা দিতে কসুর করল না বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন:Info Graphics- তেলেঙ্গানা সরকার ভেঙে কোন লাভের কড়ি গুণতে চাইছেন কেসিআর]