‘তৃণমূলের একটাই বোলার, আমাদের বাউন্সার-গুগলি ধেয়ে আসছে একের পর এক’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা কোচবিহারে নির্বাচনী সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই যুদ্ধং দেহি পরিস্থিতিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাউন্সার ছুড়লেন তৃণমূলকে নিশানা করে।
বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় উঠতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসছেন রাজ্যে। তিনি শিলিগুড়ি ও কলকাতার ব্রিগেডে সভা করবেন। আর বিকেলেই তার পাল্টা কোচবিহারে নির্বাচনী সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই যুদ্ধং দেহি পরিস্থিতিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাউন্সার ছুড়লেন তৃণমূলকে নিশানা করে।
তৃণমূল কংগ্রেসের একজন বোলার
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের তো মাত্র একজন বোলার রয়েছেন। আর আমাদের একের পর এক বাউন্সার, গুগলি ছাড়া হবে এবার। দেখাই যাক ওদের একজন কী করে সামলান আমাদের বাউন্সার-গুগলি। দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে বিজেপি ঝড় তুলে দেবে প্রচারে। সেই ঝড়ে উড়ে যাবে তৃণমূল।
২২ সভায় মোদী-শাহ-যোগী
বিজেপি রাজ্য সভাপতির ব্যাখ্যা, রাজ্যে ২২টি সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ আর যোগী আদিত্যনাথ মিলে। তারপর তো অন্য নেতারা আছেনই। আর তৃণমূলে নেতা কোথায় আমাদের নেতৃত্বের মোকাবিলা করার মতো। তাই কোনও রাস্তা নেই। প্রচার ঝড়ে উড়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: বিজেপি কি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে পারবে !জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনা কী বলছে]
কৌশল বদল মমতার
উল্লেখ্য, মোদীকে জবাব দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন আগেই কৌশল বদল করেছেন। তিনি স্থির করেছিলেন বৃহস্পতিবার থেকে প্রচার শুরু করবেন। টানা ১২ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ সফরে তিনি প্রচার চালাবেন। কিন্তু মোদী ৩ এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার শিলিগুড়ি ও ব্রিগেডে সভা করার পর ওইদিনই জবাব দেওয়ার দরকার ভেবে প্রচার কৌশল বদলে ফেলেছেন।
[আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার আগমনে কেল্লাফতে, দু-মাসে কংগ্রেসের সদস্যসংখ্যা এক লাফে বাড়ল ২২ শতাংশ]
ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যায় তোপ দিলীপের
৪ এপ্রিলের জায়গায় তিনি উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী জনসভা করবেন ৩ এপ্রিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কৌশল বদলকেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দিলীপবাবু তাঁর ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যায় বুঝিয়ে দেন, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ নেই মোদী-শাহ-যোগীদের পাল্লা দেওয়ার মতো। তাই বিজেপির বাউন্সার-গুগলিতে আউট হবেই তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছেন, ভোট-উৎসবে কি পাহাড়ে মিলবে গুরুংদের প্রবেশাধিকার ]